এক সপ্তাহেই রেকর্ড সম্পত্তি খুইয়ে অস্বস্তিতে আদানি, ক্ষতি ৪৭০০ কোটি টাকা !

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

দশ বা একশো কোটি নয়, স্রেফ কয়েক মিনিটে ৪৬,৩৯৯ কোটি টাকা হারালেন গৌতম আদানি। তার জেরে বিশ্বে ধনীদের তালিকায় নীচে নেমে গেলেন তিনি। ‘লাইভ হিন্দুস্তান’-এর একটি প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়েছে।

সংবাদসংস্থা ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে বুধবার পর্যন্ত বিশ্বের যে কোনও ব্যক্তির থেকে বেশি সম্পত্তি কমেছে এই ব্যবসায়ীর। ব্লুমবার্গের সূচক অনুযায়ী বাজার বন্ধের সময় আদানির ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয় বিলিয়ন ডলার কমে দাঁড়িয়েছে ৬৭.৬ বিলিয়ন ডলার। অথচ দিনকয়েক আগেই এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তি হিসেবে মুকেশ আম্বানির মত ধনীকেও রীতিমতো টক্কর দিচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু তাল কাটে একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন।

আরও পড়ুন : করোনার চ্যালেঞ্জ রুখতে ১১১টি বিশেষ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

গত এক বছরে আদানির উত্থান প্রায় উল্কার মতো। ভারত ও এই মুহূর্তে এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তি মুকেশ আম্বানিকে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। যে হারে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ বাড়ছিল, তাতে আগামিদিনে আম্বানিকে মসনদ থেকে সরিয়ে তিনিও দেশ তথা এই মহাদেশের ধনীতম হয়ে উঠতে পারেন, ক্রমশ জোরাল হচ্ছিল সেই সম্ভাবনাই। কিন্তু গত কয়েকদিনে যেন পুরো সমীকরণটাই পালটে গিয়েছে।

কিন্তু কেন? কী এমন ঘটল যে এই পরিস্থিতির মুখে পড়তে হল আদানিকে? জানা গিয়েছে, আদানির সংস্থায় বিনিয়োগ করা মরিশাসের তিনটি সংস্থার অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দিয়েছে ‘ন্যাশনাল সিকিউরিটিজ ডিপোজেটরি লিমিটেড’। আর সেই ধাক্কাতেই শেয়ার বাজারে এমন পতন আদানি গ্রুপের। গত সোমবারই আদানি গ্রুপের শেয়ার রাতারাতি ২৫ শতাংশ পড়ে যায়। ৫১ হাজার কোটি টাকার বেশি কমে যায় শেয়ারের দর। তবে আদানি গ্রুপের দাবি ছিল, অ্যাকাউন্টগুলি ফ্রিজ করা হয়নি। এখনও সেগুলি অ্যাকটিভই রয়েছে। যার ফলে কিছুটা হলেও শেয়ার বাজারে উন্নতি হয়। কিন্তু মোটের উপর আশ্বস্ত হতে পারেননি অন্য বিনিয়োগকারীরা।

মে মাসের শেষদিকে প্রকাশিত ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স অনুযায়ী, চিনা ধনকুবের জং শানশানকে টপকে এশিয়ার দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তি হন গৌতম আদানি। দেখা যায়, তাঁর সামনে কেবল মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani)। অতিমারীর মধ্যেই প্রায় ৩ লক্ষ কোটি টাকার বেশি সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছিল তাঁর। কিন্তু আম্বানিকে টপকে এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তি হয়ে উঠতে পারেন আদানি, এমন সম্ভাবনা তৈরি হতে না হতেই বড়সড় অস্বস্তির মুখে ৫৮ বছরের শিল্পপতি।

সোমবারই সংস্থার তরফে জানানো হয়, তিনটি বিদেশি তহবিলের অ্যাকাউন্টের লেনদেনে বন্ধ করে দেওয়ার যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, তা পুরোপুরি ‘ভুয়ো’। ইচ্ছাকৃতভাবে লগ্নিকারীদের বিভ্রান্ত করতে সেই কাজ করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়। তাতেও অবশ্য আদানি গ্রুপের ভাগ্য ফেরেনি। বরং চলতি সপ্তাহে আদানি গ্রিন শে়য়ার প্রায় ৭.৭ শতাংশ পড়ে গিয়েছে। জোরালো ধাক্কা সইতে হয়েছে আদানি পোর্ট এবং স্পেশাল ইকোনমিক জোনকেও। চারদিনে প্রায় ২৩ শতাংশ পড়েছে আদানি পোর্ট এবং স্পেশাল ইকোনমিক জোনের শেয়ার। আদানি ট্রান্সমিশন এবং আদানি টোটাল গ্যাসের শেয়ার ১৮ শতাংশের মতো পতনের সাক্ষী আছে। আদানি এন্টারপ্রাইজের শেয়ার পড়েছে প্রায় ১৫ শতাংশ।

আরও পড়ুন : করোনার ওষুধ নিয়ে ‘ভুয়ো তথ্য’ ছড়িয়েছেন, রামদেবের বিরুদ্ধে দায়ের FIR

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest