একধাক্কায় অনেকটাই কমে যেতে পারে দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার। সেটা হতে পারে বিগত ৪ বছরের সর্বনিম্ন! এমনই আভাস মিলেছে। আর এই ইঙ্গিত দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্যই। তাই স্বাভাবিকভাবে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকারের। আদৌ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে?
২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ছিল ৮.২ শতাংশ। ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্যাল অফিসের প্রকাশ করা পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে সেই হার কমে হতে পারে ৬.৪ শতাংশ। যা চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। অর্থাৎ একধাক্কায় ১.৮ শতাংশ কমতে পারে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার। চলতি অর্থবর্ষে জিডিপি বৃদ্ধির যে কমতে পারে সে পূর্বাভাস রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আগেই দিয়েছিল। তবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জিডিপি বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল ৬.৬ শতাংশ। সেটার চেয়েও জিডিপি বৃদ্ধি কমতে চলেছে।
ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার নিম্নমুখী হওয়া নিয়ে আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিল। যদিও তাদের পূর্বাভাস ছিল, এই হার চলতি অর্থবর্ষে হতে পারে ৬.৬ শতাংশ। তবে ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্যাল বলছে, তার থেকেও কম হবে বৃদ্ধির হার। এই বিষয়টি যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
চলতি বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে অর্থাৎ এপ্রিল থেকে জুনে জিডিপি ছিল ৬.৭ শতাংশ। এই পরিস্থিতিতে অনুমান করা হচ্ছিল দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে এর পরিমাণ আরও কমতে পারে। দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির হার ৫.৪ শতাংশে নেমে যায়। এবার সার্বিকভাবে গোটা বছরের বৃদ্ধির হার ৬.৪ শতাংশ নেমে যাওয়ার পূর্বাভাস দিল কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান দপ্তর। বিশেষজ্ঞ মহল মনে করেছিল, উৎসবের মরসুম এবং সরকার ঘোষিত নানাবিধ প্রকল্প আগামী ত্রৈমাসিকে কিছুটা এর বৃদ্ধি ঘটাবে। তবে এনএসও-র রিপোর্টে চিন্তা স্বাভাবিকভাবেই বাড়ল মোদী সরকারের। আগামী ৩ বছরের মধ্যে বিজেপি সরকার দেশকে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে তুলে ধরার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। তবে জিডিপি বৃদ্ধির হার নিয়ে যে পূর্বাভাস এল, তা অবশ্যভাবে আশঙ্কার বাতাবরণ তৈরি করেছে দেশের অর্থনৈতিক মহলে। জানা যাচ্ছে, উৎপাদন, কৃষি এবং পরিষেবা ক্ষেত্রে প্রত্যাশিত বৃদ্ধি না-হওয়া, প্রত্যাশামতো লগ্নি না-আসায় জেরেই এই ঘটনা।