কিং ফিশার ও জেট এয়ারওয়েজের পথেই হয়তো এবার হাঁটতে চলেছে ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম বিমান সংস্থা গো ফার্স্ট (Go First)। নগদের অভাবের জেরে ৩ এবং ৪ মে-র উড়ান বাতিল করেছে ওই বিমান সংস্থা। ফলে চরম বিপাকের মুখে পড়লেন যাত্রীরা।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে গো ফার্স্ট কর্ণধার কৌশিক খোনা জানিয়েছেন, “বর্তমানে সংস্থার কাছে রয়েছে ২৮টি বিমান। যদিও অর্ধেকের বেশি বিমান অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে ইঞ্জিনের সমস্যায়। এর ফলেই বড়সড় আর্থিক সংকটে পড়েছে সংস্থা। এই সিদ্ধান্ত দুর্ভাগ্যজনক কিন্তু সংস্থার স্বার্থেই নেওয়া হয়েছে।” এনসিএলটি-তে দেউলিয়া হওয়ার জন্য আবেদনও করেছে সংস্থাটি। ইতিমধ্যে এয়ারলাইন সংস্থাকে আগে থেকে নোটিশ ছাড়া বিমান বাতিলের জন্য ডিজিসিএ-এর তরফে শোকজও করা হয়েছে।
2019 -এর ডিসেম্বরে গ্রাউন্ডেড ছিল 7 শতাংশ বিমান, 2020 সালে তা বেড়ে হয় 31 শতাংশ ও 2022 -এর ডিসেম্বরে সেই পরিমাণ বেড়ে হয়েছে 50 শতাংশ। যদিও গো ফার্স্টের সিইও জানাচ্ছেন, কোম্পানি মোটেই এয়ারলাইন্স ইন্ডাস্ট্রি থেকে বেরিয়ে যেতে চাইছে না। দেউলিয়ার যে আবেদন করা হয়েছে, তা আসলে কোম্পানিকে পুনরুদ্ধারের জন্যই করা হয়েছে।
তবে সমস্যা আরও গভীরতর। যদি গো ফার্স্ট দেউলিয়া হয়ে পড়ে, সেক্ষেত্রে যে ব্যাঙ্কগুলি গো ফার্স্টকে ঋণ দিয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি বাড়তে পারে। গো ফার্স্টকে ব্যাঙ্কগুলির তরফে 6520 কোটি টাকার ঋণ দেওয়া হয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছে ব্যাঙ্ক অব বরোদা, অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক, ডয়েচে ব্যাঙ্ক এবং সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া।
এয়ারলাইন কোম্পানিটির দেউলিয়া হওয়ার সম্ভাবনার জেরে একাধিক ব্যাঙ্কের শেয়ার বুধবার রয়েছে রেডজোনে। সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার শেয়ার দিনের প্রথম কয়েক ঘণ্টাতেই 5 শতাংশের বেশি নেমেছে। ব্যাঙ্ক অফ বরোদার শেয়ার ধাক্কা খেয়েছে 2.5 শতাংশ। IDBI ব্যাঙ্কের শেয়ার কমেছে 1 শতাংশের বেশি ও অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের শেয়ার 1.9 শতাংশ কমেছে।