বাজারের ভেতর ঘুরে বেরাচ্ছেন কয়েকজন পুরুষ ও মহিলা৷ দোকানে দোকানে গিয়ে হিন্দিতে জিজ্ঞাসা করছেন, ‘মেহেন্দি কা প্রোগ্রাম তো নেহি রাখতে হো?’ ‘ভাই মেহেন্দি মৎ লাগাইও’৷এমনই এক ভিডিও ঘোরাফেরা করছে সোশাল মিডিয়ায়৷ যা দেখে ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন নেটিজেনরা৷ ভিডিও দেখে তাঁদের প্রশ্ন, যোগী রাজ্যে এসব হচ্ছেটা কী ?
উত্তরপ্রদেশের মুজফফরনগরের বাজারের ভেতর যাঁরা ঘুরে বেরাচ্ছিলেন তাঁরা ক্রান্তি সেনার সদস্য৷ ক্রান্তি সেনা একটি ডানপন্থী সংগঠন৷ মেহেন্দি লাগানোর দোকানে বা পার্লারে গিয়ে গিয়ে দেখছিলেন ওখানে কোনও মুসলিম যুবক হিন্দু মহিলাদের মেহেন্দি লাগাচ্ছে না তো! কেননা তিজ উপলক্ষ্যে অনেক হিন্দু মহিলা পার্লারে যাবেন মেহেন্দি লাগাতে৷ তাই আগে ভাগেই ক্রান্তি সেনার তরফে সাবধান করে দেওয়া হয়েছিল৷ বলা হয়েছিল, কোনও মুসলিম যুবক যেন হিন্দু মেয়েদের মেহেন্দি পরাতে না পারে৷
আরও পড়ুন : রোমে বিশ্বশান্তি বৈঠকে আমন্ত্রিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, থাকবেন পোপ, জার্মান চ্যান্সেলরও
ক্রান্তি সেনার এক সদস্যের কথায়, মেহেন্দি লাগানোর অছিলায় মুসলিম যুবকরা হিন্দু মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে৷ ওরাই লাভ জেহাদের ঘটনা ঘটাচ্ছে৷ তাই দোকানিদের সাবধান করে দেওয়া হয়েছিল৷ বলেই দেওয়া হয়েছিল কোনও মুসলিম যুবককে কাজে রাখা যাবে না৷ দোকানিরা ঠিক মতো তাদের নির্দেশ পালন করছে না তা দেখতেই ওই দিন বাজারে টহল দেয় ক্রান্তি সেনা৷
কট্টরপন্থী এই বিদ্বেষী সংগঠনগুলি গেরুয়া রাজনৈতিক দলগুলোর প্রশ্রয়ে অসভ্যতার খোলা ছুট পায়। বিজেপির মত দলগুলি এই সংগঠনগুলিকে তেল দেয়। যোগী আদিত্যনাথের হিন্দু যুবাবাহিনীও এমনই সংগঠন। যারা বিদ্বেষের কথা ছাড়া অন্য কিছু বলতেই পারে না। আর এই ধরনের সংগঠনগুলি বিজেপির ভোটবাক্সে পদ্মের যোগান দেয়। এদের কাছে হিন্দুধর্ম মানে বিদ্বেষ। দলিতদের প্রতি অসম্মান। মহিলাদের প্রতি অসম্মান এবং ভিন্নধর্মীদের প্রতি বিদ্বেষ। এরা যাবতীয় অসভ্যতা করে বেড়ায় মোদীর দলের বলে। কারণ মোদীর দল ম্যানেজ করে নেয়। সেখানেও বিদ্বেষের চর্চা হয় পুরোদমে। কিন্তু ভাষণে তা থাকে না। ভাষণে থাকে সবকা সাথ, সবকা বিকাশের কথা।