Site icon The News Nest

‘আমিই পূর্ণ সময়ের সভানেত্রী’, কংগ্রেসের কার্যকরী সমিতির বৈঠকে জানিয়ে দিলেন সনিয়া

cwc scaled

আগামী এক বছর কংগ্রেসের রাশ থাকবে সনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) হাতেই। শনিবার কংগ্রেসের কর্মসমিতির (Working committee) বৈঠকে এ কথাই জানালেন কংগ্রেস নেত্রী। ২০১৯-এ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) কংগ্রেসের সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন সনিয়া গান্ধী। কিন্তু কংগ্রেস নেতাদের একাংশ চাইছিল যাতে দ্রুত স্থায়ী কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট (Congress President) নির্বাচন করা হয়। সম্প্রতি সনিয়া গান্ধীকে চিঠিও দেন কংগ্রেস নেতা গুলাম নবী আজাদ (Gulam Nabi Azad)। এরপরই আজ কংগ্রেসের কর্মসমিতির বৈঠক ডাকেন সনিয়া।

শনিবার গুরুত্বপূর্ণ কার্যকরী সমিতির বৈঠকে আগামী সভাপতি নির্বাচন নিয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নিজের প্রারম্ভিক ভাষণে সনিয়া স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তিনি কংগ্রেসের পূর্ণ সময়ের সভানেত্রীর দায়িত্ব পালনে রাজি। পাশাপাশি তাঁর এই মন্তব্যকে কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ নেতাদের উদ্দেশে বার্তা হিসেবেও দেখছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে কার্যকরী সমিতির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

কপিল সিব্বল, গুলাম নবি আজাদের মতো নেতারা সভাপতি হিসেবে স্থায়ী কাউকে চেয়ে বার বার দাবি জানাচ্ছিলেন। মুখ খুলছিলেন সংবাদ মাধ্যমের সামনেও। শনিবার কংগ্রেসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে সেই বিক্ষুব্ধ নেতাদের নিশানা করে তিনি বলেন, ‘‘আপনারা যদি অনুমতি দেন, তা হলে আমি কংগ্রেসের পূর্ণ সময়ের সভানেত্রী হতে পারি। আমি বরাবরই খোলামেলা পরিবেশে বিশ্বাস রেখে এসেছি। তাই সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে আমার সঙ্গে কথা বলার কী প্রয়োজন?’’

এদিনের বৈঠকে আগামী বিধানসভা বৈঠকগুলি নিয়েও মুখ খুলতে দেখা যায় সোনিয়াকে। তাঁর কথায়, ”কিছুদিন আগে থেকেই আমাদের বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। নানা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছে আমাদের। কিন্তু যদি আমাদের মধ্যে একতা থাকে, যদি আমরা শৃঙ্খলা মেনে চলি আর দলের প্রয়োজনকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিই, তাহলে আমরা ভাল করবই সে ব্যাপারে আমরা আত্নবিশ্বাসী।”

এই প্রথম সনিয়াকে দলের বৈঠকে দলগত ঐক্য নিয়ে মুখ খুলতে দেখা গেল। তিনি বলেন, ”সমগ্র সংগঠনই কংগ্রেসের প্রত্যাবর্তন চায়। কিন্তু এর জন্য দলগত ঐক্য থাকা প্রয়োজন। দলের প্রয়োজনীয়তাকেই সবথেকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা, এর জন্য আত্মনিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা।”

Exit mobile version