"I am leaving the Congress," Amarinder announced the day after his meeting with Amit Shah

‘কংগ্রেস ছাড়ছি’, অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাতের পরদিনই ঘোষণা অমরিন্দরের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

বারবার অপমানিত হয়েছি। কংগ্রেসে আর নয়।’ অমিত শাহর সঙ্গে সাক্ষাতের একদিন বাদে ঘোষণা করলেন পাঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং (Amarinder Singh)। তবে, তিনি বিজেপিতে যোগ দেবেন না বলেই দাবি করেছেন পাঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।

গত দু’দিন একের পর এক নাটকীয় মোড় দেখেছে পাঞ্জাবের রাজনীতি। প্রথমে অমরিন্দর সিংয়ের ইস্তফা, নতুন মুখ্যমন্ত্রী নিয়োগ, অমরিন্দরের বিজেপি (BJP) যোগের জল্পনা এবং তার মধ্যেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সিধুর ইস্তফা। দুরন্ত গতিতে ঘটতে থাকা ঘটনাপ্রবাহ ক্রমশ যবনিকার দিকে এগোচ্ছে। ক্রমেই যেন বিজেপির দিকে ঝুঁকছেন পাঞ্জাবের ক্যাপ্টেন। আর যাবতীয় ‘আন্দোলন সমাপ্ত’ করে কংগ্রেসের প্রদেশ সভাপতির পদে বহাল থাকার ইঙ্গিত দিচ্ছেন সিধু (Navjot Singh Sidhu)।

সিধুর ইস্তফার দিনই দিল্লি গিয়েছেন অমরিন্দর সিং। বুধবার সন্ধেয় তিনি দেখা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে। ক্যাপ্টেনের ঘনিষ্ঠ সূত্রে বলা হয়, এটি রাজনৈতিক সাক্ষাৎ নয়। অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করে কৃষি আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন পাঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তখনকার মতো জল্পনা থামলেও আজ ফের জল্পনা উসকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে দেখা করতে যান অমরিন্দর। সাক্ষাৎ শেষে জানিয়ে দেন,”আমি কংগ্রেস (Congress) ছাড়ছি। যে দলে আমাকে বিশ্বাস করা হয় না। অপমান করা হয়, সেখানে আমি থাকব না।” যদিও, গেরুয়া শিবিরে যোগদানের জল্পনা উড়িয়ে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, বিজেপিতে যোগ দেবেন না।

ইতিমধ্যেই নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টের বায়ো থেকে মুছে ফেলেছেন “কংগ্রেস” শব্দটি। এ দিন একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমি এখনও অবধি কংগ্রেসেই রয়েছি, তবে আগামিদিনে আর কংগ্রেসে থাকব না। আমি ইতিমধ্যেই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছি। আমার সঙ্গে এ হেন ব্যবহার মেনে নেব না কিছুতেই।”

দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে অমরিন্দর সিং বলেন, “আমি দীর্ঘ ৫২ বছর ধরে রাজনীতিতে রয়েছি। আমার নিজের কিছু মতাদর্শ, বিশ্বাস রয়েছে। কিন্তু যেভাবে আমার সঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছে… সকাল সাড়ে ১০টার সময় আমায় ইস্তফা দিতে বলেন কংগ্রেস সভাপতি। আমি কোনও প্রশ্ন করিনি, শুধু বলেছিলাম এখনই ইস্তফা দিচ্ছি। ৪টের সময় আমি রাজ্যপালের কাছে গিয়ে ইস্তফাপত্র জমা দিই। যদি ৫০ বছর পরও আমার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে, যদি কোনও বিশ্বাসই না থাকে, তবে সেই দলে থেকে লাভ কী?”

 

 

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest