পাঞ্জাবের রাজনীতিতে ফের নাটকীয় মোড়। যার জন্য ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরালো কংগ্রেস, সেই নভজ্যোত সিং সিধু (Navjot Singh Sidhu) এবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দিলেন। মঙ্গলবার সকালেই সোনিয়া গান্ধীকে সংক্ষিপ্ত একটি চিঠি লিখে ইস্তফার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন সিধু। যা কংগ্রেসের অন্দরে বিনা মেঘে বজ্রপাতের শামিল।
ক্ষোভ উগরে চিঠিতে নভজ্যোত সিং সিধু (Navjot Singh Sidhu) লেখেন, পঞ্জাবের ভবিষ্যত নিয়ে কোনদিন আপস করেননি। তবে তিনি কংগ্রেসেই থাকবেন। সিধুর সঙ্গে সংঘাতের জেরে সম্প্রতি কংগ্রেসের (Congress) মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন অমরিন্দর সিং (Amarinder Singh)। তার জায়গায় নয়া মুখ্যমন্ত্রী করা হয় সিধু ঘনিষ্ঠ চরণজিৎ সিং ছানিকে (Charanjit Singh Channi)। যিনি আবার সিধুঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত।
সিধুর ইস্তফা দেওয়ার পরক্ষণেই তাঁকে তোপ দেগেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং (Amarinder Singh)। ট্যুইটে তিনি লেখেন, “আমি আগেই বলেছিলাম ওঁর কোনও স্থিরতা নেই এবং উনি সীমান্তবর্তী রাজ্য পঞ্জাবের জন্য যথার্থ নন।”
Punjab Congress chief Navjot Singh Sidhu resigns pic.twitter.com/KbDbderXeo
— ANI (@ANI) September 28, 2021
মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেই পাঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি পদে আনা হয়েছিল সিধুকে। রীতিমতো দলের অন্দরে এবং সেসময়ের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে দলের অন্দরে উত্তরণ হয় সিধুর। এ হেন মহার্ঘ পদ তিনি হঠাৎ কেন ছাড়লেন, তা নিয়ে রীতিমতো ধন্দে রাজনৈতিক মহল। সোনিয়া গান্ধীকে (Sonia Gandhi) লেখা চিঠিতে সিধু জানিয়েছেন, “আমি কখনও কোনও কিছুর সঙ্গে আপস করতে পারব না। আপস করলেই মানুষের চারিত্রিক অবনমন হয়। আমি কখনও পাঞ্জাবের ভবিষ্যৎ এবং উন্নয়নের সঙ্গে আপস করতে রাজি নই।”
আসলে, ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংকে (Amrinder Singh) সরানোর পর সিধু নিজেই পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে ছিলেন। তাঁর সমর্থক বিধায়করা সিধুর নাম প্রস্তাবও করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কংগ্রেস হাইকম্যান্ড সিধুকে মুখ্যমন্ত্রী না করে চরণজিত সিং চান্নিকে বেছে নেয়। সেসময় সিধুকে বলা হয়, তাঁর অনুগামীদের বেশি করে মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়া হবে। কিন্তু পাঞ্জাবের মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের পর দেখা যাচ্ছে, সিধু ঘনিষ্ঠরা সেভাবে জায়গা পাননি। তাতেই গোঁসা হয়েছে প্রাক্তন ক্রিকেটারের। সম্ভবত সেকারণেই ইস্তফা দিয়েছেন তিনি।