অবশেষে খোঁজ মিলল মেহুল চোকসির। পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে আর্থিক প্রতারণার (PNB Scam)ঘটনায় রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হীরে ব্যবসায়ী মেহুল চোকসিকে (Mehul Choksi) গ্রেফতার করল পুলিশ। কিউবা পালানোর পথে ডোমিনিকা থেকে গ্রেফতার ৬২ বছরের এই হীরে ব্যবসায়ী।
ইতিমধ্যেই নয়াদিল্লির তরফে এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে বলে সরকারি সূত্রের খবর। মঙ্গলবার ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের ডমনিকাহে ধৃত মেহুলের উপর অ্যান্টিগার জারি করা ইয়েলো কর্নার নোটিসের বিষয়েও জানানো হয়েছে ইন্টারপোলকে।
আরও পড়ুন : ‘পাকিস্তান হামলা করলে কি কেন্দ্র রাজ্যগুলিকে এভাবে ছেড়ে দিত?’, ভ্যাকসিন নিয়ে মোদীকে তোপ কেজরিওয়ালের
পিএনবি কেলেঙ্কারি কাণ্ডে অন্যতম মূল অভিযুক্ত নীরব মোদীর (Nirav Modi) মামা মেহুল। পিএনবি কেলেঙ্কারি সামনে আসার মুখেই ২০১৮ সালে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন মেহুল। তারপর থেকে ক্যারিবিয়ান দীপপুঞ্জের অ্যান্টিগাতেই গা ঢাকা দিয়েছিলেন মেহুল। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, অ্যান্টিগাতেও এবার পাততাড়ি গুটিয়েছেন মেহুল। ভারতে প্রত্যর্পণের ভয়ে কিউবায় পালিয়ে যেতে পারেন ওই হীরে ব্যবসায়ী বলে খবর ছিল। সেই মতোই চলছিল নজরদারি।
বুধবার ডোমিনিকা থেকে কিউবার ফ্লাইট ধরার পথেই স্থানীয় পুলিশের হাতে ধরা পড়েন মেহুল। জানা গিয়েছে, পুলিশের চোখে ধুলো দিতে নদীপথে বোট নিয়ে ডোমিনিকা পৌঁছেছিলেন এই পলাতক ব্যবসায়ী। তাঁকে আপাতত অ্যান্টিগা অথরিটির হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে ডোমিনিকা পুলিশের তরফে।
নিখোঁজ হতেই মেহুলের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে সে দেশের পুলিশ। ওই দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণ অংশে একটি রেস্তোরাঁর সামনে মেহুলের গাড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় ওই রেস্তোরাঁয় ডিনার সারতে গিয়েছিলেন মেহুল। সোমবার অ্যান্টিগার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয় নরেন্দ্র মোদীর। জলি হারবার এলাকায় দেখা গিয়েছিল মেহুল চোকসিকে।
কোটি কোটি টাকা প্রতারণায় অভিযুক্ত চোকসি গ্রেফতারি এড়াতে আগেই নিজের ভারতীয় পাসপোর্ট সমর্পণ করেছেন । ২০১৮ সালেই অ্যান্টিগার নাগরিকত্ব নিয়ে নেন চোকসি। CBI-এর অনুরোধে তাঁর বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিশ জারি করেছে ইন্টারপোল। কিন্তু অ্যান্টিগার সঙ্গে ভারতের বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি নেই। সেই সুবিধে নিতেই অ্যান্টিগার নাগরিকত্ব নিয়েছেন চোকসি। তবে ওই দ্বীপরাষ্ট্রের আইনে কমনওয়েলথ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলিতে পলাতক প্রত্যর্পণের ধারা রয়েছে।
অনেকের দাবি, মোদী সরকার তলানিতে ঠেকে যাওয়া ভাবমূর্তি খানিকটা ফিরে পেতে চাইছে। নোটবন্দি মানুষের হেঁসেলে আঘাত করেছিল। করোনা প্রাণে। অথচ মোদী রাজ্যদখল নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। যে কারণে কেবল দেশে নয়, বিশ্বে নিন্দিত হয়েছেন তিনি। গুজরাটি মেহুলকে পাকড়াও করে কি সত্যিই ফিরিয়ে আনা যাবে ? নাকি বিজয় মালিয়াকে নিয়ে নীরব মোদীকে নিয়ে যেমন লাগাতার খবর করা হয়, তেমনটাই চলবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন : Cyclone Yaas: ‘ইয়াস’ ‘চোখ’হীন ঘূর্ণিঝড়, জানালেন Cyclone Man হাবিবুর রহমান