Site icon The News Nest

দীর্ঘদিনের নীতিতে পরিবর্তন,আফগানিস্তানের তালিবান নেতাদের সঙ্গে আলোচনা শুরু ভারতের

taliban

FILE - In this May 28, 2019 file photo, Mullah Abdul Ghani Baradar, the Taliban group's top political leader, third from left, arrives with other members of the Taliban delegation for talks in Moscow, Russia. U.S. envoy Zalmay Khalilzad and the Taliban have resumed negotiations on ending America’s longest war. A Taliban member said Khalilzad also had a one-on-one meeting on Wednesday, Aug. 21, 2019, with Baradar, the Taliban’s lead negotiator, in Qatar, where the insurgent group has a political office. (AP Photo/Alexander Zemlianichenko, File)

অনেকে বলেন, মোদী জমানায় দেশের অর্থনীতির সঙ্গে সবথেকে যে জিনিসটি সমস্যায় পড়েছে তা হল বিদেশনীতি। সংঘের নীতিতে দেশ চালাতে গিয়েই নাকি এমন সমস্যা হয়েছে। যার ফল ভুগতে হয়েছে নয়া দিল্লিকে। এবার নিজেদের দীর্ঘদিনের অবস্থান থেকে সরে এল ভারত। এই প্রথম আফগানিস্তানের তালিবানের কোনও গোষ্ঠী এবং নেতাদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করল নয়াদিল্লি। এমনটাই জানিয়েছেন বিষয়টির সঙ্গে অবহিত আধিকারিকরা। তার ফলে এবার সেই উদ্যোগ আফগানিস্তানের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বলে মত সংশিষ্ট মহলের।

আরও পড়ুন : কানাডায় মুসলিম পরিবারকে হত্যার নিন্দায় ট্রুডো-ইমরান খান

গত বছর ফেব্রুয়ারিতে তালিবানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের পর থেকেই ক্রমশ আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নিচ্ছে আমেরিকা। সূত্রের খবর, তৎকালীন মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেয়োর উপস্থিতিতে সেই চুক্তি স্বাক্ষর করা তালিবান নেতা মুল্লাহ বরাদরের সঙ্গেই আলোচনা শুরু করেছে নয়াদিল্লি।

নাম গোপন রাখার শর্তে এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ভারতীয় নিরাপত্তা আধিকারিকরাই সেই আলোচনা চালাচ্ছেন। তবে তাঁরা স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে পাকিস্তান ও ইরানের মদত পাওয়া তালিবানি নেতাদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে না। পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠনগুলির মদতপুষ্ট হক্কানি বা কোয়েটা সুরার সঙ্গেও কোনওরকম আলোচনায় যেতে নারাজ ভারত। তালিবানের যে গোষ্ঠীগুলি ‘জাতীয়তাবাদী’ হিসেবে পরিচিত, সেগুলির জন্যই আলোচনার দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে। যা গত কয়েক মাস ধরেই চলছে। তাতে বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হচ্ছে।

অথচ এতদিন কোনওভাবেই তালিবানের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসতে চাইত না ভারত। নব্বইয়ের দশকে তালিবানি শাসনের সময় তাজিকস-সহ বিভিন্ন গোষ্ঠীর তৈরি সংযুক্ত ফ্রন্টের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে এক আধিকারিক বলেছেন, ‘তালিবানকে যুক্ত না করার যে পূর্ববর্তী অবস্থান ছিল এবং নর্দান জোটে যাবতীয় নজর দেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখেছি আমরা।’ যে ফ্রন্টের সমর্থন করেছিল ভারত, রাশিয়া এবং ইরান।

নয়া পদক্ষেপ নিয়ে এক আধিকারিক বলেছেন, ‘কিন্তু তারপর থেকে অনেকটা পরিবর্তন হয়েছে। অনেকেই মনে করছে যে তালিবান নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া ভালো।’ তবে ওই আধিকারিকরা স্পষ্ট করে দিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট আসরাফ ঘনি, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই-সহ আফগানিস্তানের নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনার সঙ্গে সমান্তরালভাবে তালিবানদের সঙ্গে কথাবার্তা চালিয়ে যাবে নয়াদিল্লি।

আরও পড়ুন : রাস্তায় সপাটে চড় খেলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ

 

Exit mobile version