#অমরাবতী: বেসরকারি চাকরিতেও এবার সংরক্ষণ চালু হয়ে গেল। দেশের প্রথম রাজ্য হিসেবে এই সংরক্ষণ চালু করল অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার। এবার থেকে রাজ্যের সমস্ত বেসরকারি সংস্থা, কল, কারখানার ৭৫ শতাংশ চাকরি অন্ধ্রের বাসিন্দাদের জন্য সংরক্ষিত রাখতে হবে।
মঙ্গলবার অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভায় অন্ধ্রপ্রদেশ এমপ্লয়মেন্ট অফ লোকাল ক্যাণ্ডিডেট ইন ইন্ডাস্ট্রি/ফ্যাক্টরি অ্যাক্ট, ২০১৯ পাশ করল রাজ্য সরকার৷ সেই আইনে বলা হয়েছে পিপিপি মডেলে তৈরি একাধিক প্রকল্পে ও কারখানায় চাকরি নিশ্চিত করতে হবে রাজ্যের স্থানীয় যুবকদের৷ তার জন্য ৭৫ শতাংশ পদ সংরক্ষিত থাকবে এলাকার মানুষের জন্য৷ বাকি পদগুলিতে বাইরে থেকে আবেদন গ্রাহ্য করা হবে৷
বিধানসভায় পাশ হওয়া নতুন আইন অনুযায়ী, সরকারি ও বেসরকারি যৌথ অংশীদারিত্বে যে কারখানাগুলি চলছে, তাদেরও এই নিয়ম মানতে হবে। শুধুমাত্র পেট্রোলিয়াম, ওষুধ উৎপাদন, কয়লা, সার এবং সিমেন্টের মতো কিছু ক্ষেত্রে আবেদন ভিত্তিতে এই আইনের আওতা থেকে ছাড় দেওয়া হতে পারে। তবে বর্তমানে যে কারখানা বা প্রকল্প পিপিপি মডেলে চলছে, সেখানে এই নিয়ম কার্যকরী হবে না৷ আইন লাগু হওয়ার পর নতুন করে যেগুলি চালু হবে, তার উপরেই জারি করা হবে নতুন নিয়ম৷ এই আইনে আরও বলা হয়েছে, স্থানীয়দের মধ্যে যোগ্য ব্যক্তি পাওয়া না গেলে রাজ্যের সাহায্যে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। সেখান অদক্ষদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ বানাতে হবে। তারপর কোম্পানিতে নিয়োগ করতে হবে। সব সংস্থাকে তিন বছরের মধ্যে এই আইন মেনে কাজ করতে হবে।
অনেকদিন ধরেই বেসরকারি চাকরিতে স্থানীয়দের জন্য সংরক্ষণের কথা ভাবছে দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্য। সেই তালিকায় রয়েছে মধ্যপ্রদেশ, কর্ণাটক, গুজরাট ও মহারাষ্ট্র। কিন্তু, কেউই এখনও পর্যন্ত অন্ধ্রের মতো আইন প্রণয়ন করেনি। অন্ধ্রপ্রদেশই প্রথম রাজ্য, যেখানে এই ধরণের বিল পাশ করা হল৷ ফলে এক কথায় এই সিদ্ধান্ত নজিরবিহীন বলেও মনে করা হচ্ছে৷নির্বাচনের প্রচার পর্বে এই সংরক্ষণ চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন অন্ধ্রের প্রধানমন্ত্রী ওয়াই এস জগন্মোহন রেড্ডি। ক্ষমতায় আসার দু’মাসেরই মধ্যে তা পূরণ করলেন তিনি।
শিল্প মহল এই আইনের বিরোধিতা না করলেও সরকারকে উদ্যোগ নিয়ে স্থানীয় চাকরিপ্রার্থীদের দক্ষতা বাড়ানোর উপরে জোর দিয়েছে। তবে অনেকেরই আশঙ্কা, এর জেরে অন্ধ্রে বিনিয়োগের থেকে মুখ ফেরাতে পারে বহু সংস্থা।