Jama Masjid, Delhi Bans Girls' Entry: "Welcome For Worship, Not For Dates"

Jama Masjid: মসজিদ প্রণয়ীর সঙ্গে দেখা বা টিকটক বানানোর জায়গা নয়, মেয়েদের একা প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

দিল্লির জামা মসজিদে (Jama Masjid) আর একা প্রবেশ করতে পারবেন না মহিলারা। কী লেখা হয়েছে ওই নোটিসে? সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, মসজিদের ৩ গেটে একটি নোটিস দেওয়া হয়েছে। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘জামা মসদিজে একাকী কোনও মহিলা বা মহিলাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ।’ নোটিসে কোনও তারিখ দেওয়া হয়নি।

ওই নোটিসের অর্থ কী? মহিলাদের জন্য কি বন্ধ হয়ে গেল জামা মসজিদের দরজা? বিতর্ক এড়াতে এবার ময়দানে নেমেছেন জামা মসজিদের জনসংযোগ আধিকারিক সাবিউল্লাহ খান। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে তিনি জানিয়েছেন,গোটা বিষয়টি পরিষ্কার করে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘মসজিদে মহিলাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়নি, কেবল বলা হয়েছে তাঁরা আর একা আসতে পারবেন না। মেয়েরা মসজিদকে ছেলেদের সঙ্গে দেখা করার জায়গা হিসাবে ব্যবহার করে, মসজিদ প্রাঙ্গণে টিকটক ভিডিয়ো শুট করে এবং নাচও করে। এই কাজগুলি যাতে বন্ধ হয় সেই জন্যই এই কড়া সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে।’’

সাবিউল্লাহ খান আরও বলেন, “যে কোনো ধর্মীয় স্থানের প্রটোকল মেনে চলা খুবই জরুরি। নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য হল মসজিদটি ধর্মীয় আচার পালনের জন্য এবং এটি শুধুমাত্র উপাসনার জন্য ব্যবহার করা উচিত। তিনি বলেন, কেউ এখানে এসে নামাজ পড়তে চাইলে তাতে কোন বাধা নেই, তবে মসজিদকে শুধু মসজিদ হিসেবে ব্যবহার করতে হবে।

আরও পড়ুন: Ration : আরও সহজে মিলবে রেশন, পাওয়া যাবে পুষ্টিকর খাদ্য

জামা মসজিদের শাহি ইমাম জানিয়েছেন, ‘জামা মসজিদ প্রার্থনা করার জায়গা। কেউ যদি নামাজ পড়তে এখানে আসে তাহলে কোনও সমস্য়া নেই। কিন্তু দেখা যাচ্ছে কিছু কিছু তরুণী এখানে একাকী আসছেন তাদের প্রেমিকদের সঙ্গে দেখা করতে। এই জন্যই এই বিধিনিষেধ। মসজিদ, মন্দির বা গুরুদ্বার প্রার্থনার জায়গা। সেখানে কারও প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকতে পারে না। আজই ২০-২৫ জন তরুণী এসেছিলেন। তাদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে।’

অন্যদিকে, ইস্যুটি নিয়ে ইতিমধ্যে ময়দানে নেমে পড়েছে হিন্দুত্ববাদীরা। যারা মুসলিম মেয়েদের স্বাধীনতার জন্য কেঁদে আকুল, তারাই অনেকে সবরীমালায় হিন্দু মেয়েদের প্রবেশাধিকারের বিরুদ্ধে গলা ছাড়েন। কেবল মাত্র ভিন জাতে মেয়েদের পরিবারের হাতে খুন হতে হয় আজও। সমীক্ষা বলছে গেরুয়াতান্ত্রিক গোবলয়ে এই প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। তবে উল্টো দিকে একথাও ঠিক যে, মসজিদ কতৃপক্ষ যে নোটিশ দিয়েছেন তার বয়ান আরও স্পষ্ট হওয়া কাঙ্খিত ছিল। যে কারণে তারা এই নিষেধাজ্ঞার নোটিশ দিয়েছেন, সেই কারণগুলি স্পষ্ট করা দরকার ছিল। তা না করাতেই স্বাভাবিক করেন ইস্যুটি লুফে নিয়েছে হিন্দুত্ববাদীরা।

বিষয়টি নিয়ে শাহি ইমাম বুখারির সঙ্গে কথা বলেন দিল্লির লেফট্যানেন্ট জেনারেল ভিকে সাক্সেনা। আলাপ – আলোচনার পর মসজিদের পবিত্রতা রক্ষার শর্তে সেই নোটিশ তুলে নেওয়া হবে বলে জানান শাহি ইমাম।

আরও পড়ুন: Sukanya Samriddhi Yojana: সুকন্যা সমৃদ্ধির নিয়ম বদল,৩ কন্যার জন্যেও খোলা যাবে অ্যাকাউন্ট

 

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest