Kanhaiya-Jignesh join in congress

‘ঝিমিয়ে পড়া’ কংগ্রেসে যোগ দিলেন কানহাইয়া-জিগনেশ

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

একসময় ছিলেন বামেদের ‘পোস্টার বয়’। সেই কানহাইয়া কুমার (Kanhaiya Kumar) এবার যোগ দিলেন কংগ্রেসে। মঙ্গলবার শহিদ ভগত সিংয়ের জন্মবার্ষিকীতেই কানহাইয়াকে কংগ্রেসে স্বাগত জানান রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। কানহাইয়ার সঙ্গে কংগ্রেসে যোগ দিলেন গুজরাটের নির্দল বিধায়ক তথা আরেক বামপন্থী যুব নেতা জিগনেশ মেবানিও। রাহুলের উপস্থিতিতেই কংগ্রেসের প্রাথমিক সদস্যপদ গ্রহণ করেছেন দুই তরুণ নেতা।

মঙ্গলবার বিকেলে নয়াদিল্লিতে গিয়ে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার আগে পটনার সিপিআই দলীয় কার্যালয়ে নিজের ঘর থেকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) খুলে নিয়ে গিয়েছেন কানহাইয়া কুমার। তা নিয়ে জোরদার বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিহারে সিপিআই-এর সাধারণ সম্পাদক রামনরেশ পাণ্ডে বলেন, ‘‘আমরা আপত্তি করিনি। কারণ ওই এসি নিজের টাকায় বসিয়েছিলেন কানহাইয়া। সেটা খুলে নেওয়ায় আপত্তি করব কেন?’’

সিপিআই নেতৃত্ব শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আশায় ছিলেন কানহাইয়া কংগ্রেসে যাবেন না। কানহাইয়া যোগ দেওয়ার আগের মুহূর্তেও রামনরেশ যেমন বলছিলেন, ‘‘আমি এখনও আশাবাদী কানহাইয়া কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত বদলাবেন। কারণ কানহাইয়া একজন বামপন্থী মানসিকতার মানুষ। এবং এই ধরনের মানুষ নিজের মতে অটল থাকবেন, সেটাই স্বাভাবিক।’’ কিন্তু বাস্তব হল মঙ্গলবার বিকেলে সিপিআই ছেড়ে কংগ্রেসের হাতই ধরেছেন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ)-এর পড়ুয়া সংসদের প্রাক্তন সভাপতি কানহাইয়া।

মঙ্গলবার প্রথমে দিল্লির আইটিও ময়দানে শহিদ-এ-আজম ভগত সিং পার্কে যান কানহাইয়া, জিগনেশরা (Jignesh Mewani)। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাহুল গান্ধী। একসঙ্গে হাতে হাত রেখে বিপ্লব গড়ার ডাক দেন তাঁরা। তারপরই এআইসিসি সদর দপ্তরে গিয়ে কংগ্রেসের প্রাথমিক সদস্যপদ গ্রহণ করেন তরুণ দুই নেতা।

বামপন্থা ছেড়ে কেন কংগ্রেসে (Congress) যোগ দিলেন? কানহাইয়া বলছেন, “এই দেশের সবচেয়ে গণতান্ত্রিক দলে আমি এই জন্যই যোগ দিলাম কারণ আমার মনে হয়, কংগ্রেস না বাঁচলে, দেশ বাঁচবে না। আমাদের মনে হয়, আজ দেশের ভগত সিংয়ের বীরত্বের প্রয়োজন। সেই সঙ্গে প্রয়োজন গান্ধী এবং আম্বেদকরের মতবাদের। আপনি ব্যক্তিত্বকে পিষে ফেলতে পারেন। কিন্তু আদর্শ কখনও পিষে ফেলা যায় না।”

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest