৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর এবং লাদাখ পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হওয়ার পর গত বুধবার প্রথম ভোট (Election) হয়েছে লাদাখে (Ladakh)। আজ, রবিবার লাদাখ হিল কাউন্সিলের ভোটের গণনা হয়। সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে লাদাখ কাউন্সিল ভোটে জয়ী হয়েছে ন্যাশনাল কনফারেন্স পার্টি কংগ্রেস জোট। আর পরাজিত হয়েছে BJP।
২০২০ সালে লাদাখ স্বশাসিত পার্বত্য উন্নয়ন পর্ষদ-এ ১৫টি আসন পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও, সেটা এই নির্বাচনে নামল ২-এ। ন্যাশনাল কনফারেন্স ও কংগ্রেস জোট সেখানে পেয়েছে ১৮টি আসন। ওমর আবদুল্লার দল এখনও পর্যন্ত পেয়েছে ১০টি আসন, কংগ্রেসের ঝুলিতে ৮টি। ৫টি আসনে গণনা চলছে।
পর্যদের মোট ৩০টি আসন। তার মধ্যে ২৬টিতে ভোট হয়েছিল। বাকি চারটি আসন মনোনীত সদস্যদের জন্য। লোকসভা নির্বাচনের আগে লাদাখ হিল কাউন্সিল নির্বাচনের এই ফলাফল কেন্দ্রের শাসক ও বিরোধী — দু’পক্ষের কাছেই ছিল লিটমাস টেস্ট। আসন্ন পাঁচটি বিধানসভা নির্বাচন ও সামনের বছরের লোকসভা ভোটের আগে এটা নিয়ে ছিল কেন্দ্রের শাসক-বিরোধীদের স্নায়ুর লড়াই। বিজেপি যেখানে দাবি করেছিল, লাদাখকে ২০১৯ সালে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করায় সেখানের প্রভূত উন্নয়ন ঘটিয়েছে মোদী সরকার।
আরও পড়ুন: Sikkim Disaster: মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে তিস্তায় হড়পা বান, সিকিমে ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়
অন্য দিকে, এনসি-কংগ্রেস জোটের বক্তব্য ছিল, ‘এনডিএ সরকার ২০১৯ সালের ৫ অগস্টের (অনুচ্ছেদ ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখকে বিভাজিত করে দু’টিকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা) সিদ্ধান্ত ঠিক নাকি ভুল, তার স্পষ্ট বার্তা দিতে হবে ভোটারদের।’ রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সেই স্পষ্ট বার্তাই দিয়েছেন লাদাখবাসী।আর ফলাফল বলে দিচ্ছে এ বার আর পদ্মশিবিরের উপর ভরসা রাখতে পারেননি তাঁরা।
ভোটারদের অধিকাংশই জম্মু ও কাশ্মীরের সঙ্গে লাদাখের সংযুক্তি চাইছেন। তাঁদের কথায়, ‘আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হওয়ায় আমরা কিছুই পাইনি। আমাদের সন্তানেরা সেই কর্মহীনই রয়েছে। আমাদের আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া হোক। আমরা যেমন রাজ্য ছিলাম তেমনই থাকতে চাই।’
এই ফল দেখে ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ও জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা বলেন, ‘বিজেপি তাদের বিভাজনের জবাব পেয়েছে। এটা তাদের জন্য ওয়েক আপ কল। এনসি-কংগ্রেসের কাছে ওরা ধরাশায়ী হয়েছে। আমাদের জোট জয়ী হওয়ায় আমরা সাধারণ মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ।’ তাঁর সংযোজন, ‘এই ফলাফল স্পষ্ট বুঝিয়ে দিচ্ছে যে সব দল অসাংবিধানিক ভাবে ও অগণতান্ত্রিক ভাবে মানুষের মত না নিয়েই জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখকে ভাগ করেছে, তা অন্যায় হয়েছে।’ কংগ্রেসও এই ফলে উচ্ছ্বসিত। দলের পক্ষে জয়রাম রমেশ বলেন, ‘এটা রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রার সুফল। দেশের সংবাদমাধ্যম তো এই ফলকে ব্ল্যাকআউট করবে, কিন্তু বার্তা স্পষ্ট, বিজেপিকে মানুষ চান না।’
আরও পড়ুন: Bihar Viral Video: দুর্ঘটনায় মৃত ব্যক্তির দেহ খালে ফেলে দিল পুলিশ! ভিডিও দেখলে শিউরে উঠবেন