Site icon The News Nest

লখিমপুরকাণ্ডে ফের ‘সুপ্রিম’ সমালোচনার মুখে যোগী সরকার, প্রশাসনকে বিঁধল শীর্ষ আদালত

lakhimpur 2 scaled

লখিমপুর কাণ্ডে (Lakhimpur Violence) ফের সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) চরম তুলোধনার মুখে পড়ল উত্তর প্রদেশ সরকার (Uttar Pradesh Government)। ৪ কৃষক সহ ৮ জনের মৃত্যু নিয়ে উত্তর প্রদেশ সরকারের তদন্তে সন্তুষ্ট নয় শীর্ষ আদালত। রিপোর্ট জমা দেওয়ায় দেরী করায় অসন্তোষ প্রকাশ করে  বিচারপতিরা বলেন, “পা ঘষে চলার অনুভূতিটা বাদ দিন।”

উত্তরপ্রদেশের সরকারের বিরুদ্ধে সময় মতো রিপোর্ট জমা না দেওয়ার সমালোচনা করেছে শীর্ষ আদালত। বুধবারের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি এনভি রমানার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এ দিন বলে, ‘‘গত কাল রাত ১টা পর্যন্ত আমরা রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করেছি। শুনানির অন্তত এক দিন যেখানে রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা, সেখানে রিপোর্ট জমা পড়ছে শুনানির মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে। এত পরে রিপোর্ট জমা দিলে পুরোটা কি পড়া সম্ভব?’’

লখিমপুরে গাড়ির ধাক্কায় চার কৃষকের মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে উত্তরপ্রদেশ সরকারের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার এবং জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে তদন্ত যাতে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়, তারও নির্দেশ দেয় আদালত। পাশাপাশি তদন্তের রিপোর্টও জমা দিতে বলা হয়েছিল। তার পরই তড়িঘড়ি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রের ছেলে আশিস মিশ্রকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কেন সব প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান সংগ্রহ করা হয়নি, তাই নিয়ে বুধবার প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট।

যোগী সরকারের উদ্দেশে এ দিন প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, ‘‘আপনার ৪৪ জন প্রত্যক্ষদর্শীর হদিশ পেয়েছেন। কিন্তু তাঁদের মধ্যে মাত্র ৪ জনের বয়ান নেওয়া হয়েছে। অন্যদের বয়ান কেন নেওয়া হল না এখনও?’’ উত্তরে এই মামলায় যোগী সরকারের কৌঁসুলি হরিশ সালভে বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই দিন দু’টো ঘটনা ঘটেছে। একটি ঘটনায় কয়েক জনের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর পরের ঘটনায় গাড়িতে থাকা দুই ব্যক্তিকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। ওই সময় ওখানে প্রচুর লোক থাকায় তদন্ত চালানো একটু কঠিন হয়ে উঠছে।’’

লখিমপুরের ঘটনা-রিপোর্ট আবেদনকারীর হাতে না পৌঁছনোয় যোগী সরকারের কাছে আবার নতুন রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বেঞ্চ জানিয়েছে, ‘‘বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। উত্তরপ্রদেশ সরকারকে আবার নতুন রিপোর্ট জমা দিতে হবে। ২৬ অক্টোবর পরবর্তী শুনানি।’’

Exit mobile version