Site icon The News Nest

অভিনেত্রী আয়েশা সুলতানার বিরুদ্ধে দায়ের দেশদ্রোহিতার অভিযোগ

ayesha

প্রশাসকের সমালোচনা করায় দেশদ্রোহের অভিযোগ আনা হল মহিলা পরিচালকের বিরুদ্ধে। সংবাদ মাধ্যমে লক্ষদ্বীপের প্রশাসকের সমালোচনা করা ও করোনাকে “জৈব অস্ত্র” (Bio Weapon) হিসাবে ব্যবহার করার অভিযোগ তুলতেই চলচ্চিত্র পরিচালক আয়েশা সুলতানার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহ ও বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করার অভিযোগ আনল লাক্ষাদ্বীপের বিজেপি (BJP) শাখা।

সম্প্রতিই লাক্ষাদ্বীপের প্রশাসক প্রফুল্ল খোড়া পটেলের পদত্যাগের দাবিতে সরব হয়েছিলেন একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে গোটা নেটমাধ্যম। তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক অভিযোগ। উন্নয়নের নামে জোর করে গুন্ডাদমন আইন চাপিয়ে দেওয়া, গো মাংস নিষিদ্ধ করা, মদ বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়ে তুমুল সমালোচনা শুরু হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ময়দানে নামেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

আরও পড়ুন: মোদীর সঙ্গে বৈঠকের পরই নাড্ডার বাসভবনে যোগী, গদি হারানোর ভয়েই কি লাগাতার বৈঠক?

একটি সাক্ষাৎকারে আয়েশা বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার লাক্ষাদ্বীপের বিরুদ্ধে প্রফুল প্যাটেলকে জৈবিক অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করছে ঠিক যেমন ভাবে চিন অন্য দেশগুলির বিরুদ্ধে করোনা ভাইরাসকে ব্যবহার করেছে ৷ এই বক্তব্যে বিতর্ক শুরু হতেই আয়েশা বলেন, তিনি প্যাটেলের কথা বলতে চেয়েছিলেন, সরকার কিংবা দেশের নয় ৷

অভিনেত্রী আরও বলেন, প্যাটেলের জন্যই লাক্ষাদ্বীপে করোনা ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে বিগত এক বছরে এখানে করোনার একটিও সংক্রমণ ঘটেনি ৷ এই কারণেই আমি তাঁকে জৈবিক অস্ত্রের সঙ্গে তুলনা করেছি ৷”

 আয়েশা ফেসবুক পোস্টে লেখেন, “আমার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহীতার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে আমি বলতে চাই যে সত্যের জয় হবেই। আমি যেখানে জন্মেছি, সেই মাটির জন্য লড়াই চালিয়ে যাব।”

এ দিকে, আয়েশার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর বিজেপির সমালোচনা শুরু হয়েছে। কংগ্রেস নেতা শশী থারুর টুইট করে লেখেন যে, দেশদ্রোহী শব্দের অপব্যবহার করা হচ্ছে।

লাক্ষাদ্বীপ লিটারারি ওয়ার্কিং গ্রুপ অভিনেত্রীর হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিরোধিতা করেছে ৷ তারা স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, লাক্ষাদ্বীপ সাংস্কৃতিক সমাজ অভিনেত্রীর সঙ্গে আছে ৷ এবং আয়েশার বক্তব্যের ভিত্তিতে তাঁর উপর দেশদ্রোহিতার অভিযোগ আনা ঠিক হয়নি ৷”

সম্প্রতি রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে বিরোধী দলনেতারা একত্রিত হয়ে প্রফুল প্যাটেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা করেছেন ৷ প্রশাসনের নেওয়া বেশ কিছু সিদ্ধান্ত এবং নীতি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে কিছু ধারাবাহিক পরিবর্তন এনেছে, এই অঞ্চলের মানুষ যার বিরুদ্ধে ৷ এই বিষয়ে প্রশাসনকে পুনর্বিবেচনা করার দাবিতে এই অঞ্চলের পরিস্থিতি উত্তপ্ত ৷

আরও পড়ুন: দিলীপ ঘোষের বৈঠকে গরহাজির বনগাঁর সাংসদ ও ৩ বিধায়ক, তবে কি অন্তর্দ্বন্দ্ব বাড়ছে অন্তর্দ্বন্দ্ব?

Exit mobile version