বিধানসভা ভোটের আগে, দেশি গরুকে ‘রাজ্য মাতা-গোমাতা’ হিসাবে ঘোষণা করল মহারাষ্ট্র সরকার। বৈদিক যুগ থেকে দেশি গরুদের তাত্পর্য উল্লেখ করে, সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর), একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে একনাথ শিন্ডে সরকার।
মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফডণবীস সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, “দেশি গরুরা কৃষকদের কাছে আশীর্বাদস্বরূপ। তাই আমরা সেগুলিকে রাজ্যমাতা হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। গোশালায় এই গরুগুলিকে প্রতিপালন করার জন্য আমরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেব বলে স্থির করেছি।”
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের সচিবালয়ের তরফে জানা গিয়েছে, দেশি গরু প্রতিপালনের জন্য প্রতি দিন এক জন কৃষককে ৫০ টাকা করে ভর্তুকি দেওয়া। ২০১৯ সালে ২০ তম পশুসুমারিতে দেখা যায়, মহারাষ্ট্রে মাত্র ৪৬ লক্ষ ১৩ হাজার ৬৩২টি দেশি গরু রয়েছে। ১৯ তম পশুসুমারির হিসাব মিলিয়ে দেখা যায়, আগের তুলনায় দেশি গরুর সংখ্যা ২০.৬৯ শতাংশ কমেছে। সরকারি সূত্রে খবর, তার পরেই দেশি গরুর সংখ্যা বৃদ্ধিতে উদ্যোগী হওয়ার কথা ভাবে মহারাষ্ট্রের ‘মহাদ্যুতি’ সরকার।
আগামী নভেম্বর মাসেই মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। ঠিক তার আগেই মহারাষ্ট্র রাজ্য সরকার এই সিদ্ধান্ত নিল। তবে শুধু দেশি গরুকে রাজ্যমাতা – গোমাতা হিসেবে ঘোষণা করাই নয়, এদিন একনাথ শিন্ডের সভাপতিত্বে, মহারাষ্ট্র মন্ত্রিসভা একটি গোপালকদের জন্য একটি ভর্তুকি প্রকল্পর ঘোষণাও করেছে।
এই প্রকল্পের আওতায়, মহারাষ্ট্রর গোশালাগুলি দেশি গরু পালনের জন্য দিন প্রতি ৫০ টাকা করে দেওয়া হবে। একনাথ শিন্ডের কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, “গোশালাগুলির আয় কম হওয়ায় তারা অনেক সময়ই গোশালা চালানোর ব্যয়ভার বহন করতে পারে না। তাই তাদের শক্তিশালী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার।
২০১৯ সালে ২০ তম পশুসুমারিতে দেখা যায়, মহারাষ্ট্রে মাত্র ৪৬ লক্ষ ১৩ হাজার ৬৩২টি দেশি গরু রয়েছে। ১৯ তম পশুসুমারির হিসাব মিলিয়ে দেখা যায়, আগের তুলনায় দেশি গরুর সংখ্যা ২০.৬৯ শতাংশ কমেছে। সরকারি সূত্রে খবর, তার পরেই দেশি গরুর সংখ্যা বৃদ্ধিতে উদ্যোগী হওয়ার কথা ভাবে মহারাষ্ট্রের ‘মহাদ্যুতি’ সরকার।