অপরাধ পরকীয়া। এ কারণেই খুন হতে হল এক যুবকে৷ তাঁকে প্রেমিকার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন পিটিয়ে খুন করেছে। এই নৃশংস ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়েও দিল মহিলার স্বামী। খুন করার পর প্রেমিকের দেহ বাড়ির সামনে ফেলে দিয়ে যায় অভিযুক্তরা। দাবি, মৃতের বাবার৷ গত বৃস্পতিবার এই আমনবিক ভয়ঙ্কর ঘটনার সাক্ষী থাকে রাজস্থানের হনুমানগড় জেলা।
প্রেমপুরার বাসিন্দা ওই যুবকের নাম জগদীশ মেঘাওয়াল। গ্রামেরই এক বিবাহিত মহিলার সঙ্গে তাঁর গোপন প্রেমের সম্পর্কে ছিল বলে অভিযোগ। সেই ‘নিষিদ্ধ’ প্রেমের শাস্তি দিতেই তাঁকে নির্মম ভাবে খুন করা হয়েছে বলে দাবি প্রেমপুরার বাসিন্দাদের।
নেটমাধ্যমে তাঁর উপর অত্যাচারের যে ভিডিয়োটি ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, একসঙ্গে অন্তত ছ’জন লাঠি নিয়ে চড়াও হয়েছেন জগদীশের উপর। তাঁকে মাটিতে ফেলে মারধর করা হচ্ছে। এর মধ্যে একজনকে জগদীশের গলায় হাঁটু মুড়ে চেপে বসতেও দেখা যায়। সেই অবস্থাতে যুবকের উপর লাঠির ঘা পড়তে থাকে অবিরাম। একটা সময়ের পর নিথর হয়ে যায় জগদীশের দেহ।
ভিডিয়োটি দেখার পর জগদীশের দেহ নিয়ে হনুমানগড় থানায় অবস্থান বিক্ষোভ করেন প্রেমপুরার বাসিন্দারা। জগদীশের হত্যাকারীদের গ্রেফাতার না করা হলে শেষকৃত্য করা হবে না বলেও জানিয়ে দেন তাঁরা। পরে থানায় খুনের মামলা দায়ের করেন জগদীশের বাবা বনওয়ারিলাল মেঘাওয়াল। পুলিশকে তিনি জানান, দু’টি বাইকে ছ’জন এসে তাঁর বাড়ির সামনে ছুড়ে ফেলে দিয়ে যায়। তিনিই প্রথম ছেলেকে দেখেন। কিন্তু তখন জগদীশ মারা গিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ১১ জনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। হত্যাকারীদের মধ্যে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের সন্ধান চলছে। পুলিশকে গ্রামবাসীরা জানিয়েছিলেন, হত্যাকারীদের মধ্যে জগদীশের প্রেমিকার স্বামীও ছিল। তবে ধৃতদের মধ্যে তিনিও আছেন কি না, তা জানা যায়নি।