স্নানের পর তোয়ালে পেতে দেরি হওয়ায় স্ত্রীকে খুন করল প্রৌঢ়। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের বালাঘাট জেলার হীরাপুর গ্রামে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে কীর্ণাপুর থানার পুলিশ।
অভিযুক্তের নাম রাজকুমার বাহে। বয়স পঞ্চাশ। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, দিনমজুরের কাজ করত রাজকুমার। অল্পেই রেগে যেত। ছোটখাটো কারণ নিয়ে বাড়িতে অশান্তি করত। সেই অশান্তি যে এই পর্যায়ে পৌঁছে যাবে, তা কেউ ভাবতে পারেননি। অভিযোগ, সকাল বেলা উঠে স্নান করতে গিয়েছিল রাজকুমার। স্নানের শেষে স্ত্রী পুষ্পা বাঈকে গা মোছার তোয়ালে আনার নির্দেশ দেয়। স্ত্রী জানায়, তোয়ালে দিতে তাঁর একটু সময় লাগবে। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে ৫০ বছরের প্রৌঢ়।
অভিযোগ, তোয়ালে না পেয়ে বাথরুম থেকে বেরিয়ে এসেই স্ত্রীর উপর চড়াও হয় রাজকুমার। তাঁকে মারধর করতে থাকে। রাজকুমারের ২৩ বছরের মেয়ে বাধা দিতে গেলে তাঁকেও হুমকি দিয়ে সরিয়ে দেয়। এরপরই ঘরে পড়ে থাকা বেলচা দিয়ে পুষ্পা বাঈয়ের মাথায় সজোরে আঘাত করে বসে রাজকুমার। ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন ৪৫ বছরের গৃহবধূ। তাঁর মাথা দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে।
মায়ের অবস্থা দেখে চিৎকার করে ওঠেন ২৩ বছরের যুবতী। তাঁর চিৎকার শুনেই আশেপাশের লোকজন ছুটে আসেন। রাজকুমারকে ধরে ফেলেন তাঁরা। পুষ্পা বাঈকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে ৪৫ বছরের গৃহবধূকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। ঘটনার পর রাজকুমারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে আদালতে তোলা হলে অভিযুক্তকে পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই পুষ্পাদেবীর মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। তা পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।