Manish Sisodia approaches Supreme Court against arrest by CBI in Delhi liquor policy case

Manish Sisodia: গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ মনীশ সিসোদিয়া

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। দিল্লিতে আবগারি দুর্নীতি মামলায় রবিবার উপমুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করে সিবিআই। সোমবার আদালতে হাজির করানো হয় সিসোদিয়াকে। তাঁকে ৫ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

দিল্লি সরকারের মোট ৩৩টি দফতরের মধ্যে ১৮টি ছিল মণীশ সিসোদিয়ার হাতে। দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পাশাপাশি শিক্ষা, অর্থ, স্বাস্থ্য, আবগারির মতো গুরুত্বপূর্ণ দফতর সামলাতেন সিসোদিয়া। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সবচেয়ে বিশ্বাসভাজন নেতা তিনি। তবে এবার তিনি আবগারি কেলেঙ্কারি মামলায় জেলে। এই আবহে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ভাবে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে চলেছে কেজরিওয়াল। এর আগে তাঁর মন্ত্রিসভার আরও এক সদস্য – সত্যেন্দ জৈন গ্রেফতার হয়েছিলেন হাওয়ালা কাণ্ডে। এবার নিজের বাহিনীর ‘সেনাপতি’কে হারালেন কেজরি।

সোমবার আদালতে সিবিআই দাবি করেছে, তাদের বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়েছেন সিসৌদিয়া। আবগারি নীতির প্রথম খসড়ার অন্তত ৬টি বিষয়ের ব্যাখ্যা তিনি দিতে পারেননি। সিবিআইয়ের দাবি, পানীয় বিক্রয়কারী সংস্থাগুলির স্বার্থেই আবগারি নীতির খসড়ায় বদল আনা হয়েছিল। তার বিনিময়ে ১০০ কোটি টাকা নেওয়া হয়েছিল।

আরও পড়ুন: New Liquor Policy: বারে নয় ঘরে বসে মদ খান! সব পানশালায় তালা ঝোলাচ্ছে দেশের এই রাজ্য

২০২১ সালে ১৬ নভেম্বর নয়া আবগারি নীতি আনে দিল্লি সরকার। মদ কেনাবেচার পদ্ধতিতে বদল করা হয়।নতুন আবগারি নীতিতে সরকারি মদের দোকানগুলি বন্ধ করে বেসরকারি মদের দোকানগুলিকে মদ বিক্রির অনুমতি দেওয়ার কথা বলা হয়। কেজরিওয়াল সরকার চেয়েছিল, নতুন করে ৮৪৯টি মদের দোকান খোলা হবে। রাজধানীর ৩২টি অঞ্চলে এই মদের দোকান খোলার পরিকল্পনা ছিল। উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশই আবগারি দফতরের দায়িত্বে। নতুন আবগারি নীতিতে মদের কালোবাজারি বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি রাজস্ব আদায় বাড়বে বলেও দাবি করেছিল সরকার।

আগে দিল্লিতে মোট ৮৬৪টি মদের দোকান ছিল। ৪টি সরকারি সংস্থা ৪৭৫টি মদের দোকান চালাত। বাকি ৩৮৯টি বেসরকারি সংস্থার মালিকদের হাতে ছিল। এই নীতি কার্যকর করতে আবগারি লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে বেনিয়ম এমনকি আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগও ওঠে। যার জেরে নতুন আবগারি নীতি চালুর ঠিক ৮ মাস পর, তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। দাবি করা হয়, নতুন নীতিতে পদ্ধতিগত কিছু সমস্যা রয়েছে। নতুন ৬৪৪টি মদের দোকান খোলা হলেও শেষমেশ ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে না পেরে লাইসেন্স ফিরিয়ে দিতে শুরু করেন। ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে সরকার পুরনো আবগারি নীততে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। দিল্লির উপরাজ্যপাল বিনয়কুমার সাক্সেনা আপ সরকারের এই নতুন নীতিতে বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়েছিলেন। তার পরেই তদন্তে নামে সিবিআই।

সিসোদিয়ার গ্রেফতারি একটা ‘নোংরা রাজনীতি’ বলে সরব হয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসার’ কারণেই সিসোদিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সরব হয়েছে আম আদমি পার্টি। এমনকি, এই গ্রেফতারির জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেই দুষেছেন আপ নেতারা। যদিও আপের এই দাবি উড়িয়েছে বিজেপি। যার জেরে আপ এবং বিজেপির সংঘাত চরমে উঠেছে।

আরও পড়ুন: Viral Video: বিয়েতে নাচতে নাচতে হার্ট অ্যাটাক, লুটিয়ে পড়ে মৃত্যু যুবকের

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest