Marital rape: Even sex workers can say 'no', but not married woman, says Delhi High Court judge

Marital Rape: যৌনকর্মীর ‘না’ বলার অধিকার থাকলেও বিবাহিত মহিলার নেই! মন্তব্য দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতির

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

বৈবাহিক ধর্ষণ (Marital Rape) কি অপরাধ? বুধবারের রায়ে উত্তর দিতে পারেনি দিল্লি হাই কোর্ট (Delhi High Court)। এই বিষয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতি দু’রকম পর্যবেক্ষণ জানান। বিচারপতি সি হরিশংকর (C Harishanker) বৈবাহিক ধর্ষণকে সরাসরি অপরাধ গণ্য করতে রাজি হননি। অন্যদিকে ভিন্ন মত জানান বিচারপতি রাজীব শকধের (Rajiv Shakdher)। এই বিষয়ে রীতিমতো কড়া মন্তব্য করেন বিচারপতি শকধের। তাঁর কথায়, যৌনতার বিষয়ে একজন যৌন কর্মীরও ‘না’ বলার অধিকার রয়েছে, কিন্তু একজন স্ত্রী তা পারেন না।

ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারার ২ নং ব্যতিক্রম তুলে ধরে বিচারপতি শকধের নিজের রায়ে বলেন, ‘যৌনকর্মীরা আইনত না বলতে পারেন, তবে বিবাহিত স্ত্রী তা পারেন না। যদি কোনও মহিলার স্বামী তার স্ত্রীর গণধর্ষণে যুক্ত থাকে, তাহলে সে সম্পর্কের খাতিরে পার পেয়ে যাবে। অন্য অভিযুক্ত ধর্ষণের সাজা ভোগ করলেও ধর্ষণকারী স্বামীর কিছুই হবে না।’

বিচারপতি শরধের বলেন, ‘এই জঘন্য সাধারণ আইন এমন মতবাদকে স্বীকৃতি দেয় যে একজন বিবাহিত মহিলা নিজের যৌন অধিকার হারায় এবং তিনি সম্পত্তি ছাড়া কিছুই নন।’ বিচারপতি বলেন, এভাবে সেই নারীকে সংবিধানের প্রদান করা মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘স্বামীরযৌন নিপীড়নকে ধর্ষণ বলে আখ্যায়িত করা দরকার।’

আরও পড়ুন: Sedition Law: রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের পুনর্বিবেচনা হবে, সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা মোদী সরকারের

উচ্চ আদালতের বিচারপতি নিজের পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘ভারতে বৈবাহিক ধর্ষণ দণ্ডনীয় অপরাধ বলে বিবেচিত না হলেও এটিকে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারের পর্যায়ে ফেলা হয়। শরীরই হোক কিংবা আত্মপরিচয়, স্ত্রীর কোনও কিছুর উপরই কর্তৃত্ব ফলাতে পারেন না স্বামী। স্ত্রীর শরীরকে স্বামী যদি নিজের সম্পত্তি ভাবেন এবং তাঁর ইচ্ছের বিরুদ্ধে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হন, তাহলে সেটা বৈবাহিক ধর্ষণ ছাড়া আর কিছুই নয়।’

উল্লেখ্য, বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যে ধর্ষণের প্রসঙ্গ টানা যায় কিনা তা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে দেশে। অনেকের মতে বিষয়টি পশ্চিমি সংস্কৃতি থেকে আমদানি করা হয়েছে। এই বিষয়ে গত ৭ ফেব্রুয়ারি হাই কোর্ট কেন্দ্রের অবস্থান জানাতে চেয়েছিল। যদিও কেন্দ্র এখনও পর্যন্ত তাদের মত দেয়নি। তবে ওই সময় কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছিল, এই বিষয়ে সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের কাছে মতামত চাওয়া হয়েছে। তারপর তারা তাদের বক্তব্য জানাবে।

আরও পড়ুন: Golden Chariot: অশনি-র দাপটে সমুদ্রতটে ভেসে এল রহস্যময় ‘ভিনদেশি’ সোনালি রথ! শ্রীকাকুলামের VIDEO VIRAL

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest