Marital rape is a valid reason for divorce, the historic verdict of the Kerala High Court

Marital rape: বৈবাহিক ধর্ষণ বিবাহ বিচ্ছেদের সঙ্গত কারণ, ঐতিহাসিক রায় কেরল হাইকোর্টের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

বৈবাহিক ধর্ষণ আইনি বিচ্ছেদের যুক্তিগ্রাহ্য কারণ হতে পারে বলে এ বার জানিয়ে দিল কেরল হাই কোর্ট। আদালত জানিয়েছে, ভারতের মতো দেশে বৈবাহিক ধর্ষণ এখনও দণ্ডনীয় অপরাধ বলে যদিও বিবেচিত নয়। কিন্তু বিবাহ বিচ্ছেদ মামলায় তা যথেষ্ট যুক্তিগ্রাহ্য কারণ।

‘বৈবাহিক ধর্ষণের’ ইস্যু নিয়ে একসময় একাধিকবার উত্তাল হয়েছে সংসদ। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক হয়েছে নানাবিধ সময়ে। ‘বৈবাহিক ধর্ষণ’, এই সংজ্ঞা আদৌ কতদূর প্রযোজ্য, ‘বৈবাহিক ধর্ষণ’ বলে কোনও অপরাধের অস্তিত্ব রয়েছে কি না, প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়েও। এ দিন কেরল হাইকোর্টের বিচারপতি এই প্রসঙ্গেই একটি মামলার শুনানি করতে গিয়ে নিজের রায়ে জানান, বৈবাহিক ধর্ষণ বিষয়টিকে বিবাহ-বিচ্ছেদের কোনও কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয় না ঠিকই, কিন্তু এটি বিবাহ-বিচ্ছেদের অন্যতম কারণ হতে পারে। এই রায় কার্যত বৈবাহিক ধর্ষণের মামলায় নতুন সম্ভবনার দরজা খুলে দিল বলে মনে করছেন আইনজ্ঞরা।

স্ত্রীর বিবাহ বিচ্ছেদের মামলাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কেরলের পারিবারিক আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক ব্যক্তি। পৃথক দু-দু’টি আবেদন জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি এ মহম্মদ মুস্তাক এবং কৌসর এদাপ্পাগথ।

আরও পড়ুন: Rahul Gandhi-র ‘Breakfast Meeting’ জোটবদ্ধ তৃণমূলসহ বিরোধীরা

শুক্রবার মামলার শুনানি চলাকালীন দুই বিচারপতি বলেন, ‘‘ভারতে বৈবাহিক ধর্ষণ দণ্ডনীয় অপরাধ বলে বিবেচিত নয়। যদিও তাকে শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচারের আওতায় ফেলা হয়। কিন্তু বিয়ে করেছেন বলে স্ত্রীর ব্যক্তি স্বাধীনতা উপেক্ষা করে তাঁর শরীরের উপর বলপূর্বক স্বামীর কর্তৃত্ব বৈবাহিক ধর্ষণই।’’

এ ছাড়াও আদালত জানিয়ে দেয়, আধুনিক সমাজব্যবস্থায় বিবাহবন্ধনে থাকা স্বামী এবং স্ত্রী, দু’জনেই একে অপরের সমকক্ষ। স্ত্রীর শরীর হোক বা তাঁর আত্মপরিচয়, কোনও কিছুর উপর কর্তৃত্ব চালাতে পারেন না স্বামী। স্ত্র্রীর শরীরকে স্বামী যদি নিজের সম্পত্তি ভাবেন এবং ইচ্ছের বিরুদ্ধে সঙ্গমে লিপ্ত হন, তা বৈবাহিক ধর্ষণ ছাড়া কিছু নয়।

বৈবাহিক ধর্ষণ নিয়ে বহু বছর ধরে তর্ক-বিতর্ক চলে আসছে দেশে। রক্ষণশীলরা এর সঙ্গে পশ্চিমি সংস্কৃতিকে জুডে় দিয়েছেন। কিন্তু কেরল আদালত জানিয়েছে, মন ও শরীরের সংমিশ্রণেই ব্যক্তি স্বাধীনতা গড়ে ওঠে। তাই শরীরে আঘাত হানার অর্থ ব্যক্তি স্বাধীনতায় আঘাত।

আরও পড়ুন: পদবি ঠিক করার মালিক বাবা নন,সন্তান চাইলে মায়ের পদবি নিতে পারে, জানিয়ে দিল দিল্লি হাইকোর্ট

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest