Mass resignation in silchar congress

সুস্মিতা দেব দল ছাড়তেই গণ ইস্তফা কংগ্রেসে, এবার বরাক উপত্যকায় ঘাসফুলের দোলা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

হাত ছেড়ে ঘাসফুলে যোগ দিয়েছেন শিলচরের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ সুস্মিতা দেব। তারপরই দেখা গিয়েছে, অসমে গণ ইস্তফা দিলেন কংগ্রেসের নেতা–কর্মীরা। আর তাতে ২৭ জন কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানের কথা জানিয়ে দিলেন। অসমেও তৃণমূল কংগ্রেস শক্তিশালী ভিত করতে চায়। তাই সুস্মিতাকেই এখানে মুখ করতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস। এই কথা প্রকাশ্যে আসতেই অসম জুড়ে কংগ্রেসে ভাঙন শুরু হয়। যা চাপে ফেলে দিয়েছে কংগ্রেসকে।

এই দলত্যাগীদের তালিকায় রয়েছেন শিলচর কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা রাজেশ দেব, রাহুল আলম লস্কর, সূর্যকান্ত সরকার, মোহনলাল দাস, পাপন দেব, সজল বনিক, মজুদ আহমেদ লস্কর, রাজদীপ দেব রায়, মনোজ কুমার দে, জ্যোতিরিন্দ্র দে, অভিষেক রায় চৌধুরীরা।

তাঁদের মূল অভিযোগ, অসমের দায়িত্বে যে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রয়েছে, তারা অসম কংগ্রেসকে একেবারেই গুরুত্ব দিয়ে দেখেন না। ভোটের আগে থেকে সে নজির মিলেছে। অভিযোগ, বিজেপি প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে ফেলার পরও দেখা গিয়েছে অসমের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কোনও হেলদোল নেই। দলত্যাগীদের অভিযোগ, শীর্ষে থাকা নেতারা বিজেপির হিমন্ত বিশ্বশর্মার কাছে নিজেদের সঁপে দিতে চাইছেন। ইচ্ছাকৃত কংগ্রেসকে দুর্বল করে দিচ্ছেন। কংগ্রেসে থেকে আর কাজ করা সম্ভব নয় বলেই তৃণমূলে যোগ দিলেন বলে জানান তাঁরা।

আরও পড়ুন: শুরু তালিবান-রাজ, কাবুল ছাড়ল শেষ এয়ার ইন্ডিয়া বিমান

উল্লেখ্য, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সন্তোষমোহন দেবের মেয়ে সুস্মিতা দেবের ইস্তফায় কংগ্রেসের ভিতরে ডামাডোল শুরু হয়। সোমবার সকালেই কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দেন শিলচরের প্রাক্তন সাংসদ সুস্মিতা দেব। সোনিয়া গান্ধীকে চিঠিতে লেখেন, ‘‌তিন দশক ধরে অল ইন্ডিয়া ন্যাশনাল কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করছি। এতদিন ধরে আমার পাশে থাকার জন্য সকল সতীর্থ, নেতা–মন্ত্রীদের অনেক ধন্যবাদ। এই তিন দশকের স্মৃতি আমি চিরকাল আমি মনে রাখব।’‌

তারপরই কলকাতায় আসেন সুস্মিতা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও ডেরেক ও’ব্রায়েনের উপস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখাও করেন তিনি। ফেসবুকে সেই পোস্টও করেন। তারপর থেকেই দেখা যায়, বরাক উপত্যকায় কংগ্রেসের ভাঙন। একেবারে গণ ইস্তফা। এখন সেটা ঠেকানো কার্যত কঠিন বলেই মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: সুনন্দা পুষ্কর মৃত্যুর মামলায় শশী থারুরকে বেকসুর খালাসি দিল দিল্লির আদালত

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest