Mimicry is part of art, says TMC MP Kalyan Banerjee on Jagdip Dhankhar insult row

Mimicry: সংসদ চত্বরে জগদীপ ধনকড়কে নকল করে বিতর্কে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

মঙ্গলবার সংসদ চত্বরে উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়কে (Jagdeep Dhankhar) মিমিক্রি করে বিতর্কে জড়িয়েছেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)। বুধবার কল্যাণ জানিয়ে দিলেন, অন্যায় করেননি। কারণ মিমিক্রি একটা শিল্প। তাছাড়া ধনকড়ের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাও রয়েছে তাঁর।

সোমবার সংসদের দুই কক্ষেই বিরোধী সাংসদেরা গণহারে সাসপেন্ড হয়েছিলেন। মঙ্গলবারও সেই ধারা অব্যাহত ছিল। এর মধ্যেই নতুন সংসদ ভবনের মকরদ্বারের সামনে বিরোধী সাংসদদের অবস্থানে কার্যত ‘আসর জমিয়ে দেন’ তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ। কল্যাণ যে ভঙ্গিতে কথা বলেন, শরীরী ভাষার প্রয়োগ ঘটান, তা দেখে অনেকেই দাবি করেন, তিনি রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা দেশের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের কথা বলার ধরন, শরীরী ভাষা নকল করেছেন। কল্যাণের সেই ‘প্রতিভা’ দেখে কার্যত হেসে লুটোপুটি খেতে থাকেন বিভিন্ন দলের সাংসদেরা। কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকেও পকেট থেকে মোবাইল ফোন বার করে কল্যাণের ভিডিয়ো তুলতে দেখা যায়।

এই ঘটনায় গতকালই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন ধনকড়। বলেন, “লজ্জাজনক, হাস্যকর, অনভিপ্রেত যে একজন এম পি ব্যঙ্গ করছেন এবং দ্বিতীয় এম পি সেই ঘটনার ভিডিও করছেন।” রাহুলেরও নিন্দা করেন উপরাষ্ট্রপতি।

মঙ্গলবার কল্যাণের ওই কাণ্ডের পর যখন জাতীয় রাজনীতি সরগরম, তখন মুখ খুললেন কল্যাণ। তিনি বলেন, “নকলনবিশি করা তো শিল্পের একটা ধরন। রাজনৈতিক প্রতিবাদের অনেক রকম ভাষা থাকে। প্রধানমন্ত্রীও সংসদের মধ্যে অতীতে মিমিক্রি করেছেন। তার জন্য কি তিনিও ক্ষমা চাইবেন?” প্রসঙ্গত, সংসদে ‘মোদীর নকলনবিশি’র এই কল্যাণকথিত ভিডিয়ো এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে পোস্ট করেছেন তৃণমূলের বহিষ্কৃত সাংসদ মহুয়া মৈত্র।

শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ বুধবার আরও বলেন, “নকল সংসদ অধিবেশন চলছিল (মঙ্গলবার)। আমি বলিনি যে সেটা লোকসভা না কি রাজ্যসভা। এটা যদি উনি (ধনখড়) নিজের গায়ে মেখে নেন, তা হলে আমি অসহায়। উনি কি সত্যিই রাজ্যসভায় এ রকম আচরণ করেন? এটাই আমার প্রশ্ন।’’ কল্যাণের কথায়, ‘‘কারও ভাবাবেগে আঘাত করার কোনও অভিপ্রায় ছিল না আমার। ধনখড় সাব আমার সিনিয়র। উনি আমার পেশাতেই ছিলেন। উনি আইনজীবী ছিলেন। আমিও আইনজীবী। আমাদের পেশায় আমরা কারও ভাবাবেগে আঘাত করি না। আমি ওঁকে শ্রদ্ধা করি।’’

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest