প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পরিবারে নয়া সদস্য। আদর করে স্বয়ং মোদী তার নাম রাখলেন ‘দীপজ্যোতি’। ছোট্ট ফুটফুটে ছানাটিকে দেখলেই আদর করতে মন চাইবে। মোদীর বাসভবনে আসা নয়া সদস্যটি হল একটি তুলতুলে বাছুর।পরিবারের সেই ছোট্ট সদস্যের নামও নিজেই রাখলেন প্রধানমন্ত্রী। নাম রাখলেন দীপজ্যোতি।
স্বাধীন ভারতে প্রথম গো-রাজনীতি প্রবেশ করে কংগ্রেসের হাত ধরে। বেশ কয়েকবার নির্বাচনী প্রতীক পরিবর্তনের সময় ইন্দিরা কংগ্রেসের জমানায় একবার তা গাই-বাছুরের ছবি। তারপর গোবলয় বলে যা বিখ্যাত সেইসব প্রদেশে ভারতীয় জনতা পার্টি গোমাতার লেজ ধরে ভোট বৈতরণীতে পাড়ি দেয়। ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র বজায় রাখতে ইন্দিরা গান্ধীই নির্বাচনী প্রতীক পরিবর্তন করে হাতকে চিহ্ন করেন। কিন্তু, বিজেপি কখনও গো-রাজনীতিকে ত্যাগ করেনি।
এক্স হ্যান্ডলে নিজের সেই খুশি সবার সঙ্গে ভাগ করে নিলেন মোদী। লিখলেন, লোক কল্যাণ মার্গে তাঁর বাসভবনে নতুন সদস্যের আগমন ঘটেছে।
ক্যামেরাকে সাক্ষী রেখে বাছুরের প্রতি মোদীজি যে মমত্ব দেখালেন, তাতে চমকিত অনেকেই। অনেকেই বলেছেন ক্যামেরা না থাকলে তারা জানতেই পারতোনা গো বাছুরের প্রতি কী গভীর ভালোবাসা মোদীজির।
हमारे शास्त्रों में कहा गया है – गाव: सर्वसुख प्रदा:'।
लोक कल्याण मार्ग पर प्रधानमंत्री आवास परिवार में एक नए सदस्य का शुभ आगमन हुआ है।
प्रधानमंत्री आवास में प्रिय गौ माता ने एक नव वत्सा को जन्म दिया है, जिसके मस्तक पर ज्योति का चिह्न है।
इसलिए, मैंने इसका नाम 'दीपज्योति'… pic.twitter.com/NhAJ4DDq8K
— Narendra Modi (@narendramodi) September 14, 2024
এক্স হ্যান্ডলে প্রধানমন্ত্রীর শেয়ার করা ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, বাসভবনের যেখানে দুর্গামূর্তি রয়েছে, সেখানে তিনি নিয়ে গিয়েছেন দীপজ্যোতিকে। পরিবারের নতুন সদস্যকে পুজো করেন তিনি। তাকে আদরে ভরিয়ে দেন। যেমন করে পরিবারের নতুন সদস্যকে সবাই স্বাগত জানান। তেমনভাবেই দীপজ্যোতিকে নিজের পরিবারে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী।
গতবছর ওয়ারাঙ্গলে ভদ্রকালী মন্দির পরিদর্শনে গিয়ে মোদীকে গোশালায় ঢুকে গোরুকে ঘাস খাওয়াতে দেখা গিয়েছিল। এমনকী রামলালার মন্দির ও মূর্তি উন্মোচনের আগে বেশ কয়েকদিন যে নিষ্ঠাভরে সাত্ত্বিক দিন কাটিয়েছেন, সেসময়ও রোজ নিয়ম করে গোরুকে খাওয়াতেন মোদী। প্রধানমন্ত্রীর এই গোসেবা নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক মহলেও বেশ কয়েকবার সমালোচিত হলেও গোরুভক্তি বা গোরুর প্রতি ভালোবাসা বিন্দুমাত্র কমেনি মোদীর।