দিব্যি চলছিল স্কুলের পঠন পাঠন। দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের আবার অঙ্ক পরীক্ষা চলছিল। এই সময় বেশ কিছু স্থানীয় লোকজন নিয়ে স্কুলে হানা দেয় ডানপন্থী সংগঠন বজরং দলের সদস্যেরা। স্কুলের ভেতরে ঢুকে পড়ে তারা, এলোপাথাড়ি ইট-পাথর ছুড়তে থাকে। চলে স্লোগান। ভয়ে সিঁটিয়ে যায় পড়ুয়ারা। কোনও মতে রক্ষা পেয়েছে তারা। কিন্তু এই আক্রমণের কারণ কী? বজরং দলের অভিযোগ, স্কুলটি নাকি পড়ুয়াদের খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করছে।
ঘটনাটি প্রায় ১২টা নাগাদ ঘটেছিল। সেই সময় প্রায় ৩০০ জন সেন্ট জোসেফ উচ্চ বিদ্যালয়ের বাইরে বিক্ষোভ করতে জড়ো হয়েছিল। স্কুলে তখন দ্বাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থীরা বোর্ড পরীক্ষা দিচ্ছিল। হামলাকারী জনতা শীঘ্রই হিংস্র হয়ে ওঠে এবং স্কুল প্রাঙ্গণে ভাঙচুর শুরু করে। স্কুলের সম্পত্তির ক্ষতি করে হামলাকারীরা। স্কুলের অধ্যক্ষ ব্রাদার অ্যান্টনি টিনুমকাল এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে জনতা লোহার রড এবং পাথর নিয়ে হামলা চালিয়েছিল এবং স্কুলের সম্পত্তি ভাঙচুরের সময় ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান তুলেছিল।
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে ব্রাদার অ্যান্টনি বলেন, ‘আমাদের স্কুলের নামে চিঠি প্রচারিত হয়েছে যে ৮ জন হিন্দু ছাত্রকে খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিত করা হয়েছে। তারা আমাদের ছাত্র না। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে ঘটনাটি ঘটেছে ৩১ অক্টোবর। সেদিন ছিল রবিবার, সেদিন কোনও শিক্ষক বা ছাত্র আসেনি স্কুলে। আমি সেদিন পুলিশকে জানিয়েছিলাম, তখনও এখানে মাত্র ২ জন পুলিশ মোতায়েন ছিল।’
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সাথে জড়িত চারজনকে আটক করা হয়েছে। অন্য অভিযুক্তদের খুঁজে বের করার জন্য সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।