Tripura Crisis: বিপ্লব দেবের শক্তি পরীক্ষার বৈঠকে এলেনই না মুকুল ঘনিষ্ঠ সুদীপরা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

ত্রিপুরা বিজেপির অভ্যন্তরীণ কাজিয়া এবার একেবারে প্রকাশ্যে চলে এল। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের ডাকা পরিষদীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক এড়ালেন বহু বিধায়ক। এদের মধ্যে সুদীপ রায়বর্মন-সহ বহু বিধায়কই মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।

শুক্রবার বিধানসভায় বিকেল ৪.৫০ মিনিট নাগাদ পরিষদীয় দলের বৈঠক শুরু হয়। বৈঠক চলে প্রায় দু’ঘণ্টা। জানা যায়, মূলত সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের প্রচারের কথাই উঠে এসছে এই বৈঠকে। হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে নানা কথা, প্রচার বাড়ানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মিমি মজুমদার, সুশান্ত চৌধুরীকে।  কিন্তু এই কথাবার্তায় মোট ৩৬  জন বিধায়কের মধ্যে দশজনই গড়হাজির ছিলেন।

সূত্রের খবর. এই বৈঠক পূর্ব নির্ধারিত ছিল। অনেকেই মনে করছেন, বিধায়কদের এই মন্ত্রিসভায় কতটা আস্থা আছে তা সংখ্যা দিয়েই যাচাই করে নিতেই ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব‌কুমার দেব বৈঠকে বসেছিলেন। পরীক্ষার ফল অবশ্য তাঁর জন্য খুব সুখকর হয়নি। এই বৈঠক এড়িয়ে গিয়েছেন সুদীপ রায় বর্মন, রামপ্রসাদ পাল, পরিমল দেববর্মন, আশিস দাস, আশিস কুমার সাহা প্রমুখ । এদের মধ্যে অনেকেই মুকুল রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন বলে পরিচিত।

আরও পড়ুন: ইলেক্টোরাল ট্রাস্টের ৭৬ শতাংশ চাঁদাই পেয়েছে গেরুয়া শিবির,কর্পোরেটদের আস্থা বিজেপিতেই !

উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই দিল্লিতে ঘুরে এসেছেন সুদীপ রায় বর্মন। বিপ্লব মন্ত্রিসভায় রদবদলের সম্ভাবনা নিয়ে  যখন জল্পনা ছড়িয়েছে তখনই কেন হঠাৎ দিল্লি গেলেন সুদীপ রায় বর্মন তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চার শেষ নেই। এক সময়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর গুরুদায়িত্ব সামলানো সুদীপ কি ফের মন্ত্রীসভায় যেতে পারেন, চর্চা তাই নিয়েই। বিজেপি কি দলের ভাঙন রুখতে পুরস্কৃত করার কথা ভাবছে সুদীপ শিবিরকে ঘটনাপ্রবাহে প্রশ্ন উঠছে  এই মর্মেও।

সূত্রের খবর এই বৈঠকে গরহাজির ছিলেন স্বয়ং উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মাও। যদিও শোনা যাচ্ছে পূর্বনির্ধারিত অনুষ্ঠান থাকায় কারণেই তিনি বৈঠকে হাজির থাকতে পারেননি। একটি সূত্রের খবর, এই বৈঠকে নাকি বিশ্ববন্ধু সেনকে অধ্যক্ষ করার দাবি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আবার একটি অংশ নাকি মিটিংয় রুমের বাইরে হলঘরে যীষ্ণু দেববর্মাকে মুখ্যমন্ত্রী করার দাবি নিয়েও আলোচনা করে নিজেদের মধ্যে। যদিও এই খবরের সত্যতা যাচাই করা যায়নি। তবে যদি এর কিংয়দংশও সত্যি হয়, তবে বলতেই হবে বিপ্লব দেবের সর্ষের মধ্যেই ভূত। ঘরে বাইরে এই বিপদ তিনি কী ভাবে সামাল দেবেন এখন সেটাই দেখার।

আরও পড়ুন: ‘৩৭০ ফেরার আশা করা বোকামি, তবু হাল ছাড়িনি’, বললেন ওমর আবদুল্লাহ

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest