Mumbai woman who was raped, inserted rod in private part died in hospital

Mumbai Rape: ধর্ষণের পর নৃশংস অত্যাচার, ভেন্টিলেশনে ৩৩ ঘণ্টার লড়াইয়ে পর মৃত্যু মুম্বইয়ের নির্ভয়ার

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

দীর্ঘ প্রায় ৩৩ ঘণ্টায় মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে প্রাণ হারালেন মুম্বই ধর্ষণকাণ্ডের নির্যাতিতা। ঘাটকোপারের রাজাওয়াড়ি হাসপাতালে তাঁর চিকিত্সা চলছিল। সেখানেই আজ সকালে তাঁর মৃত্যু হল। নির্যাতিতাকে বাঁচাতে একটি সার্জারি করা হলেও শেষ রক্ষা হয়নি। চিকিত্সকরা জানান, নির্যাতিতার শরীরে এত বেশি ক্ষত ছিল যে তা থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছিল বাকি শরীরে। প্রচুর রক্তক্ষরণও হয়েছিল তাঁর। এর জেরে তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

শুক্রবার ভোররাতে মুম্বইয়ের সাকিনাকা এলাকার একটি ফাঁকা টেম্পো থেকে উদ্ধার হয় রক্তাক্ত, অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয় মহিলাকে। ধর্ষণের মূল অভিযুক্ত মোহন চৌহানকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণ, খুনের চেষ্টার মামলা রুজু হয়েছে।

একটি সিসিটিভি ফুটেজও পুলিশের হাতে এসেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ধর্ষণের আগে মহিলাকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করছেন মোহন। তার পর তাঁকে ধর্ষণ করে যৌনাঙ্গে লোহার রড ঢুকিয়ে দেন। বার বার সেই রড দিয়ে মহিলার যৌনাঙ্গে আঘাত করতেও দেখা গিয়েছে মোহনকে।

আরও পড়ুন: ‘তৃতীয় ঢেউ এসে গিয়েছে’, উৎসবের মরশুমে বাড়িতেই থাকার অনুরোধ মেয়রের

এর পরই মহিলাকে পাশে দাঁড়ানো একটি ফাঁকা টেম্পোতে তোলেন। সেখানে গুরুতর জখম অবস্থায় ফেলে রেখে চম্পট দেন তিনি। রাত তখন আড়াইটে, তিনটে। ঘটনার মিনিট পনেরো বাদে ওই রাস্তা দিয়েই এক ব্যক্তি যাচ্ছিলেন। তখনই তিনি মহিলাকে দেখতে পান। টেম্পো থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়ছিল রাস্তায়। অচৈতন্য অবস্থায় মহিলাকে দেখতে পেয়েই পুলিশ কন্ট্রোলরুমে ফোন করেন তিনি। পুলিশ এসে সঙ্কটজনক অবস্থায় মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়, মহিলার অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক। তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। বেশ কয়কেটি অস্ত্রোপচারও করা হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা মহিলার দেহে সংক্রমণ ছড়িয়ে যাওয়ার ভয় পাচ্ছিলেন। তবে শেষরক্ষা হল না। শনিবার সকালে মৃত্যু হল নির্যাতিতার।

মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দিলীপ পাটিল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। রাজ্যের আরও এক মন্ত্রী নবাব মালিক বলেছেন, ‘‘যত দ্রুত সম্ভব এই ঘটনার চার্জশিট তৈরি করা হবে। এবং ফাস্ট-ট্র্যাক আদালতে তুলে অভিযুক্তের শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।’’

আরও পড়ুন: মোদী জন্মদিনে টিকা দেওয়ার রেকর্ড গড়তে মজুত! অভিযোগ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest