লখিমপুর খিরিতে হিংসার ঘটনায় কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র এবং তাঁর ছেলে আশিসের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল উত্তরপ্রদেশ পুলিস। রবিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয়ে চাপা পড়ে ২ কৃষকের মৃত্যু ও ২ কৃষককে গুলি করে মারার অভিযোগে তোলপাড় হয় উত্তর প্রদেশের লখিমপুর খিরি। ওই ঘটনার পর সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত ৪ কৃষক ও আরও ৪ জনের মৃত্যু খবর পাওয়া গিয়েছে।
লখিমপুর খেরির পুলিশ সুপার বিজয় ধুল জানিয়েছেন, রবিবার ঘটনার পর কৃষকদের অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধি ৩০২ ধারায় খুন, ১২০-বি এবং ১৪৭ ধারায় তিকুনিয়া পুলিশ স্টেশনে মামলা দায়ের হয়েছে। এদিকে, রবিবার রাতের ঘটনার প্রতিবাদের রোষ আছড়ে পড়েছে কৃষক সংগঠনগুলির মধ্যে। সংগঠন এবং নিহতদের পরিবারের তরফে অভিযুক্তের বাবা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদত্যাগ এবং নিহতদের পরিবারকে সরকারি চাকরি দেওয়ার দাবি ওঠে। জেলাশাসকের কাছে এই মর্মে আবেদনও জমা পড়েছে বলে খবর। এছাড়া সিট গঠনের জন্য সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার পক্ষ থেকে দেশের রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠিও পাঠানো হয়েছে।
যদিও এই ঘটনার পরে অজয় বলেন, ‘‘আমার ছেলে ঘটনার সময় সেখানে ছিল না। ওর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগই মিথ্যা।’’ তাঁর আরও দাবি, দুর্ঘটনায় মৃত আট জনের মধ্যে রয়েছেন তাঁর গাড়ির চালক এবং বিজেপি-র তিন কর্মী। এই চার জনকে পিটিয়ে মারা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। অজয় বলেন, ‘‘আমার চালক গাড়ি চালাচ্ছিলেন। দুষ্কৃতীরা পাথর ছুড়লে গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারায় এবং দুই কৃষক গাড়ির নীচে চাপা পড়েন। এর পর তিন বিজেপি কর্মী এবং চালককে পিটিয়ে মারা হয় এবং গাড়িতে আগুন লাগানো হয়।’’
ইতিমধ্যেই এলাকায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। যোগী আদিত্যনাথ সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। কংগ্রেস, তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টি সবাই বিজেপি-কে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। সোমবার তৃণমূলের পাঁচ সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, দোলা সেন, প্রতিমা মণ্ডল, আবিররঞ্জন বিশ্বাস এবং সুস্মিতা দেব লখিমপুরে যাচ্ছেন। ঘটনাস্থলে গিয়েছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধী।