মাংস বিক্রির সঙ্গে যুক্ত এক মুসলিম ধর্মালম্বীকে চরম হেনস্থার শিকার হতে হল উত্তর প্রদেশে (Uttar Pradesh)। রবিবার বিকেলে এক ব্যক্তি নিজেকে ‘গো-রক্ষক’ দাবি করে ওই মাংস ব্যবসায়ীর ওপর চড়াও হন। তাঁর নেতৃত্বে একদল মানুষ মাংস ব্যবসায়ী মহম্মদ শাকিরকে মারধর করে বলেও অভিযোগ। শাকিরের ভাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ‘গো-রক্ষক’ মনোজ ঠাকুরের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পাল্টা মনোজ ঠাকুরের পক্ষ থেকে মহম্মদ শাকিরের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে মামলা। শাকিরের বিরুদ্ধে, পশুহত্যা, সংক্রমণ ছড়ানো ও লকডাউন ভাঙার অভিযোগ এসেছে। এক ডেপুটি সুপারইন্টিন্ডেন্ট সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, শাকির গ্রেফতার হলেও তাঁর জেল হয়নি। কারণ মামলাগুলো জামিনযোগ্য। মাংস ব্যবসায়ী এখন বাড়িতেই আছেন বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশকে লিখিত অভিযোগে শাকিরের ভাই জানিয়েছে, ৫০ কিলোগ্রাম মহিষের মাংস মোটর সাইকেলে নিয়ে যাওয়ার সময় মনোজ ঠাকুর গাড়ি আটকায়। এরপর ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। তারপর বচসা হয়। এরপর লাঠি নিয়ে শাকিরকে মারতে শুরু করে মনোজ ঠাকুরের নেতৃত্বাধীন দল। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার সমাজবাদি পার্টির সাংসদ এসটি হাসান দ্রুত পুলিশি তদন্তের দাবি করেন। তিনি বলেন, “আমি শুনেছি ওই ব্যক্তির কাছে মাংসের রিসিপ্ট ছিল। গরুর নামে এই নির্যাতন বন্ধ হোক। এটা ভগবানের কৃপা যে ওই ব্যক্তি প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন।”
আরও পড়ুন: এবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে ১০৯ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ সামনায়