Jammu and Kashmir: রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাবে জম্মু কাশ্মীর, ২৪-এর বৈঠকে রূপরেখা জানাবেন মোদি

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

আগামী ২৪ জুন রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকেই সম্ভবত জম্মু কাশ্মীরকে কীভাবে রাজ্যের তকমা ফিরিয়ে দেওয়া হবে, তার রূপরেখা তুলে ধরবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ জম্মু কাশ্মীরের সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আগামী বৃহস্পতিবার বৈঠক করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর৷ সূত্রের খবর, জম্মু কাশ্মীরকে কীভাবে রাজ্যের তকমা ফিরিয়ে দেওয়া হবে, গত কয়েকমাস ধরে সেই কৌশল ঠিক করেছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল৷ মনে করা হচ্ছে, কাশ্মীরে স্বাভাবিক রাজনৈতিক প্রক্রিয়া ফিরিয়ে আনতে পারলে তা কেন্দ্রীয় সরকারের বড় সাফল্য হিসেবে গণ্য হবে৷ গোটা বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত সরকারের শীর্ষ সূত্রের দাবি অনুযায়ী, প্রতিশ্রুতি মতো রাজ্যের তকমা ফেরানো হলেও অতীতের মতো কাশ্মীরের জন্য বিশেষ কোনও ক্ষমতার সংস্থান এবার আর থাকছে না৷

আরও পড়ুন :  তবলিগ জামাত করোনা ছড়াচ্ছে, এই অপপ্রচারের দায়ে তিন টিভি চ্যানেলকে লক্ষাধিক টাকা জরিমানা

২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট ৩৭০ ধারা অবলুপ্ত করার পাশাপাশি জম্মু কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করেছিল মোদি সরকার৷  জম্মু কাশ্মীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে লাদাখকেও পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয়৷ এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপের পরেই কাশ্মীরের স্বাভাবিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে লাগাম টানা হয়৷ মেহবুবা মুফতি, ওমর আবদুল্লার মতো উপত্যকার অনেক নেতাকেই আটক করা হয়৷ ধীরে ধীরে অবশ্য বিধিনিষেধ শিথিল করে নেতাদেরও মুক্তি দেওয়া হয়৷

অনেকে মনে করছেন আসলে গেরুয়া শিবিরের রাজনীতির জায়গা ক্রমশ ছোট হয়ে আসছে। তাদের রাজনীতির টিকে রয়েছে কয়েকটি পয়েন্টে। যেমন হিন্দু-মুসলিম বিভাজন ও বিদ্বেষ ছড়ানো, কংগ্রেসের নিন্দা করা এবং পাকিস্তনকে গাল দেওয়া। কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার পর থেকে কেন্দ্র নিজেই চাপে ছিল। কারণ সেখানকার রাজনৈতিক দলগুলিকে আর দায়ী করা যাচ্ছিল না। সবটাই তাদের হাতে। তাছাড়া ৩৭০ ধারায় নেই। এখন ডিলিমিটেশনের মাধ্যমে জম্মুর বিধানসভা কেন্দ্রকে কাশ্মীরের সঙ্গে জুড়ে দিয়ে কাশ্মীরের দাপট বাড়াতে চেষ্টা করবে বিজেপি। অনেকের দাবি এটা বহু পুরাতন ছক।

আগামী ২৪ জুনের বৈঠক এই কারণেই আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ কারণ এর মাধ্যমেই ফের একবার কাশ্মীরের রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে কেন্দ্রের সরাসরি আলোচনা শুরু হতে চলেছে৷ পিডিপি, ন্যাশনাল কনফারেন্সের মতো উপত্যকার প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি কংগ্রেস, বিজেপি-র প্রতিনিধিদেরও বৈঠকে ডাকা হয়েছে৷

সূত্রের খবর, কীভাবে জম্মু কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফেরানো হবে, তার রূপরেখা তুলে ধরবেন প্রধানমন্ত্রী৷ তবে রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাওয়ার জন্য কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে জম্মু কাশ্মীরকে৷ কারণ গত বছর যে ডিলিমিটেশন কমিশন গঠন করা হয়েছিল, তারা রিপোর্ট দেওয়ার পরই কাশ্মীরে ভোটের প্রক্রিয়া শুরু করা সম্ভব হবে৷ তবে জম্মু কাশ্মীরকে রাজ্যের তকমা ফেরালেও আপাতত লাদাখ নিয়ে কিছু ভাবছে না কেন্দ্রীয় সরকার৷

জম্মু কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার পরিবেশ তৈরি করতে এবং তার রণকৌশল ঠিক করার নেপথ্যে মূল ভূমিকা নিয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল৷ উপত্যকার বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি৷ ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পরেও কাশ্মীরে স্থানীয় স্তরে নির্বাচন হয়েছে৷ কিন্তু উপত্যকার রাজনৈতিক দলগুলির মূল দাবিই ছিল রাজ্যের তকমা ফিরিয়ে দেওয়া৷ সেই দাবি পূরণ হওয়ায় দু’ পক্ষে অনেকটাই সন্ধি হবে বলে মনে করা হচ্ছে৷

২০১৮ সালের পর কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন হয়নি৷ কেন্দ্রের শীর্ষ স্তর সূত্রে দাবি করা হয়েছে, যত শীঘ্র সম্ভব বিধানসভা নির্বাচন সেরে ফেলার চেষ্টা করা হবে বলে বৃহস্পতিবারের বৈঠকেই জম্মু কাশ্মীরের রাজনৈতিক দলগুলিকে আশ্বস্ত করবেন প্রধানমন্ত্রী৷ সীমানা পুনর্বিন্যাসের প্রক্রিয়া শেষ হলেই জম্মু কাশ্মীরে নির্বাচন হওয়ার কথা৷

তবে এই সীমানা পুনর্বিন্যাসের প্রক্রিয়া নিয়েও পিডিপি এবং ন্যাশনাল কনফারেন্সের আপত্তি রয়েছে৷ কারণ সীমানা পুনর্বিন্যাস হলে জম্মুতে আসন সংখ্যা বাড়বে৷ কারণ জম্মুর রাজনৈতিক দলগুলি দীর্ঘদিন ধরে এই দাবি জানিয়ে আসছিল৷ আর বর্তমানে জম্মুতে বিজেপি অনেকটাই শক্তিশালী৷ ফলে এই সীমানা পুনর্বিন্যাস প্রক্রিয়া নিয়ে আপত্তি রয়েছে মেহবুবা মুফতি, ওমর আবদুল্লাদের৷

যদিও আপত্তি থাকলেও বিষয়টি নিয়ে কাশ্মীর উপত্যকার দলগুলি সীমানা পুনর্বিন্যাসের বিষয়ে খুব বেশি গোঁ থাকবে না বলেই আশাবাদী কেন্দ্র৷ কারণ কাশ্মীরে শান্তি এবং স্বাভাবিক অবস্থা ফেরাতে উপত্যকার রাজনৈতিক দলগুলিও সমান ভাবে আগ্রহী বলেই দাবি কেন্দ্রীয় সরকারের শীর্ষ কর্তাদের৷

আরও পড়ুন : দুইয়ের বেশি সন্তান হলে সরকারি সুযোগ-সুবিধা মিলবে না! ঘোষণা অসমের মুখ্যমন্ত্রীর

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest