NCERT drops chapters on democracy, periodic table from class 10 textbooks

NCERT: অপ্রাসঙ্গিক গণতন্ত্র! এবার দশম শ্রেণির পাঠ্যবই থেকে বাদ পিরিওডিক টেবল সহ একাধিক বিষয়

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

বছরের শুরুতেই দশম শ্রেণির পাঠ্যসূচি থেকে ‘ডারউইনের বিবর্তন তত্ত্ব’ বাদ দেওয়া নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল। ১৮০০-র বেশি বিজ্ঞানী এবং শিক্ষাবিদ খোলা চিঠি লিখে ন্যাশনাল কাউন্সিল অব এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেইনিং বা এনসিইআরটি (NCERT)-র এই সিদ্ধান্ত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। এবার, দশম শ্রেণির পাঠ্যসূচি থেকে বাদ পড়ল পিরিওডিক টেবল, গণতন্ত্র এবং শক্তির উৎসের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিও। এনসিইআরটি-র প্রকাশিত সাম্প্রতিক পাঠ্যবইগুলিতে, দশম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা এই বিষয়গুলি আর পাবে না।

এনসিইআরটির তরফে জানানো হয়েছে, করোনাভাইরাস মহামারীর পরবর্তীতে পড়ুয়াদের উপর থেকে ভার লাঘব করতে পাঠ্যক্রম কাটছাঁট করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট শ্রেণির অন্য কোনও বিষয়ে সেই অংশ থাকলে অথবা ওই অংশটি নীচু বা উঁচু কোনও ক্লাসে অন্তর্ভুক্ত থাকলে অথবা কোনও অংশ পড়ুয়াদের কাছে সহজলভ্য হলে অথবা বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনও অংশ অপ্রাসঙ্গিক হলে সেই অংশটি বাদ দেওয়া হচ্ছে।

এনসিইআরটি সূত্রের খবর, দশম শ্রেণির বিজ্ঞানের নতুন পাঠ্যসূচিতে পর্যায় সারণির পাশাপাশি শক্তির উৎস এবং সুস্থায়ী সম্পদের ব্যবহার সম্পর্কিত অংশও বাদ দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি বাদ যাচ্ছে দেশের জনপ্রিয় আন্দোলন, রাজনৈতিক দল এবং গণতন্ত্রের সঙ্কট সম্পর্কিত বিষয়ও। কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ সংস্থা এনসিইআরটি-র তরফে বলা হয়েছে, পড়ুয়ারা চাইলে একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে এই বিষয়গুলি বিস্তারিত ভাবে পড়তে পারবেন। কিন্তু যে পড়ুয়া মাধ্যমিক কিংবা সমতুল কোনও পরীক্ষার পর বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করবেন না, তিনি পর্যায় সারণির মতো বিষয় সম্পর্কে কীভাবে জানতে পারবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

এনসিইআরটির পাঠ্যবই থেকে সম্প্রতি থেকে মোগল ইতিহাস এবং গান্ধীহত্যার প্রসঙ্গও বাদ দেওয়া হয়েছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার জন্য মহাত্মা গান্ধীর প্রয়াসকে অনেক হিন্দুত্ববাদী সংগঠন যে ভাল ভাবে নেয়নি, সেই অংশটিও বাদ গিয়েছে। যদিও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তরফে সিলেবাসে এই কাটছাঁট প্রসঙ্গে জানানো হয়েছে, অতিমারিকালে পড়ুয়াদের উপর অতিরিক্ত চাপ কমাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের রাজনৈতিক অভিসন্ধি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ইতিহাসবিদদের একাংশ। পড়ুয়াদের বিকৃত ইতিহাস পড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে, এই অভিযোগেও সরব হয়েছেন তাঁরা।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest