Site icon The News Nest

Rafale: রাফাল-কাণ্ডে নয়া মোড়, দুর্নীতির খোঁজ পেতে নতুন করে তদন্তের নির্দেশ দিল ফ্রান্স

রাফাল দুর্নীতি মামলায় নতুন মাত্রা। ফ্রান্সের তরফে রাফাল দুর্নীতির তদন্ত করতে নতুন করে বিচারপতি নিয়োগ করা হলো। রাফাল যুদ্ধবিমান চুক্তি ঘিরে নতুন করে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগের বিচারবিভাগীয় তদন্ত করবে ফ্রান্স। এই উদ্দেশ্যে এক বিচারককে নিযুক্ত করা হয়েছে। ফ্রান্সের আর্থিক অপরাধ দমন সংক্রান্ত বিভাগ (পিএনএফ) শুক্রবার এ কথা জানিয়েছে।

আরও পড়ুন: নয়া নিয়মে মাত্র ১ মাসেই ফেসবুক থেকে উধাও ৩ কোটি পোস্ট

সম্প্রতি ফ্রান্সের একটি সংবাদমাধ্যম রাফাল নির্মাতা সংস্থা দাসো অ্যাভিয়েশনের বিরুদ্ধে চুক্তির মধ্যস্থতাকারীকে ১০ লক্ষ ইউরো (প্রায় ৯ কোটি টাকা) ‘উপহার’ দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিল। এ সংক্রান্ত কিছু নথিপত্রও পেশ করে তারা। দুর্নীতি বিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে এরপর পিএনএফ-এর কাছে রাফাল চুক্তি নিয়ে তদন্তের দাবি জানায়। তারই ভিত্তিতে বিচারবিভাগীয় তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফরাসী সরকার।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে রাফাল চুক্তি নিয়ে তদন্তের দাবি খারিজ করেছিল পিএনএফ। সে সময় ‘তথ্যপ্রমাণের অভাব’ অজুহাত দেখিয়ে দাবি খারিজ করা হয়েছিল। এ বার ফ্রান্সের এই পদক্ষেপ নরেন্দ্র মোদী সরকারের অস্বস্তি বাড়াল বলেই মনে করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, মোদী জমানায় ২০১৬-তে ভারত ও ফ্রান্সের মধ্যে প্রায় ৫৯ হাজার কোটি টাকার বিনিময়ে ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি করেছিল ভারত। সে সময় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ছিলেন ফ্রাঁসোয়া ওঁলা। একটি ফরাসি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে দাবি, এর কিছুদিন পরেই ফরাসী দুর্নীতি দমন সংস্থার তদন্তে মধ্যস্থতাকারীকে দেওয়া ‘উপহার’ সংক্রান্ত তথ্যপ্রমাণ মিলেছিল।

ফ্রান্সের সংবাদপত্র মিডিয়াপার্ট, শুক্রবার একটি রিপোর্টে এ বিষয়ে আলোকপাত করেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই মামলার পুনর্তদন্ত আসলে শুরু হয়েছে ১৪ জুন। তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে একজন স্বাধীন বিচারককে। যিনি নিজে বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখার পাশাপাশি প্রাক্তন ফরাসি রাষ্ট্রপতি ফ্রাঙ্ক রস হল্যান্ডের সঙ্গেও কথা বলবেন বলে জানা গিয়েছে। অতি স্পর্শকাতর এই চুক্তি ভারত এবং ফ্রান্সের মধ্যে ২০১৬ সালে করা হয়েছিল। যা নিয়ে সতর্কতার সঙ্গে তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছে মিডিয়াপার্ট।

২০১৬ সালে যখন ভারত এবং ওদেশের মধ্যে রাফাল চুক্তি হয়, তখন রাষ্ট্রপতি ছিলেন ওঁলাদ এবং বর্তমান রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রন ছিলেন তার ইকোনমিক অ্যান্ড ফিনান্স মিনিস্টার। বিষয়টি জানা গিয়েছে, ওই সংবাদপত্র এবং পাশাপাশি ফরাসি এনজিও শেরপার দায়ের করা রিপোর্ট অনুযায়ী এর আগেও তদন্তের দাবি জানানো হয়েছিল, যা ২০১৮ সালে নাকচ করে দেওয়া হয়।

তবে এই তদন্ত এবং নতুন করে বিচারপতি নিয়োগ বিষয়ে ড্যাসল্ট অ্যাভিয়েশনের তরফ থেকে কোনও রকম প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। আগে অবশ্য এই চুক্তিতে কোনও রকম অনিয়ম নেই বলে দাবি করেছিলেন ড্যাসল্ট কর্তারা।প্রাথমিকভাবে হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড এর সঙ্গে ১২৬ টি ফাইটার বিমান কেনার কথা ছিল। ভারত সরকারের পক্ষে সে চুক্তি ভেঙে ড্যাসল্ট- সঙ্গে চুক্তি করা হয়। বিজেপি সরকার আসার পর নরেন্দ্র মোদি ভারত ফ্রান্সের মধ্যে একটি আন্ত সরকার চুক্তি করেন। ৩৬ টি রাফাল মিডিয়াম মাল্টিরোল কম্বাট এয়ারক্রাফট কেনার জন্য। তারপরে এই চুক্তি নিয়ে বিভিন্ন রকম অনিয়মের অভিযোগ ওঠে ভারত এবং ফ্রান্স দুদেশেই। এমনকী পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকলেও অনিল আম্বানির মালিকানাধীন রিলায়েন্স ডিফেন্স এর পক্ষ থেকে ড্যাসল্টের অফসেট পার্টনার হিসেবে নেওয়া হয়। যা নিয়ে বিতর্ক চরমে ওঠে

আরও পড়ুন: খাস কলকাতায় উদ্ধার ১৬টি তাজা বোমা, গ্রেপ্তার ৪

Exit mobile version