জম্মু বিমানঘাঁটিতে ড্রোন হামলার পর কেটে গিয়েছে ২ দিন। এখনও ড্রোনের উৎস খুঁজে পাননি তদন্তকারীরা। এমতাবস্থায় জম্মু বিস্ফোরণের (Jammu Airport Explosion) তদন্তভার এনআইএর হাতে তুলে দিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। রবিবারই বিস্ফোরণের পর এনআইএর একটি তদন্তকারী দল পৌঁছেছিল জম্মু বিমানঘাঁটিতে। এ বার আরও একটি দল দিল্লি থেকে রওনা দিল জম্মুর উদ্দেশে।
এনআইএর একটি দল ছাড়াও দিল্লি পুলিশের সন্ত্রাস দমনমূলক স্পেশাল সেলের একটি দল জম্মু যাচ্ছে। এনআইএর পাশাপাশি পুরো ঘটনার তদন্ত করছে এনএসজিও। এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনার তদন্তের জন্য ইসরোর সাহায্য নেওয়া হতে পারে। শনিবার গভীর রাতে ১ টা ৩৭ মিনিটে প্রথম বিস্ফোরণ হয় জম্মু বিমানঘাঁটিতে, তারপর ফের বিস্ফোরণ হয় ১টা ৪৩ মিনিটে। জোড়া বিস্ফোরণে বিশেষ কোনও ক্ষয়ক্ষতি না হলেও আহত হন ২ বায়ুসেনা আধিকারিক।
আরও পড়ুন: ভোররাতে পরপর দুটি বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল জম্মু
পাকিস্তানের হাতে এমন কোনও শক্তিশালী ড্রোন নেই। তাই আঙুল উঠছে চিনের বিরুদ্ধে। এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ড্রোন চিনে তৈরি হলেও হয়ে থাকতে পারে। অন্যদিকে পাকিস্তানে এই ড্রোনের যন্ত্রাংশ একত্রিত হয়েছিল, এই সম্ভাবনার কথাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তাঁরা। সবটাই নির্ভর করছে তদন্তের ওপর।
বিস্ফোরণের ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আরও দু’টি ড্রোন জম্মুর কালুচকে দেখতে পায় নিরাপত্তাবাহিনী। গুলি করে সেগুলো নামানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সেগুলো পালিয়ে যায়। মঙ্গলবারও জম্মুর তিন জায়গায় ড্রোন উড়তে দেখা গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। কুঞ্জওয়ানি, সাঞ্জোয়ান এবং কালুচকে মধ্যরাতে এই ড্রোন লক্ষ্য করে সেনা। কিছু ক্ষণের মধ্যেই সেগুলো গায়েব হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: Twitter India: বিকৃত মানচিত্রের জের, ট্যুইটার ইন্ডিয়ার প্রধানকে আটক করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ