কংগ্রেসকে খোঁচা দিয়েই গোয়ায় আত্মপ্রকাশ করল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC in Goa)৷ গোয়ার জন্য দলের লোগোতেও রয়েছে নতুনত্বের ছাপ৷ কিন্তু সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ হল, গোয়ায় আত্মপ্রকাশ করতে গিয়ে কংগ্রেসের হাইকম্যান্ড সংস্কৃিতকে খোঁচা দিয়ে ট্যুইট করেছেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন (TMC pinches Congress high command culture)৷
গোয়াতেও যে তৃণমূল (TMC in Goa) সংগঠন বিস্তারে অন্য দল থেকে উপযুক্ত নেতাদের দলে টানবে, সেকথাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন ডেরেক (Derek O’Brien)৷ তৃণমূলের মূল নিশানা যে গোয়ায় কংগ্রেসের সংগঠনে ফাটল ধরানো, সেটাও পরিষ্কার৷
গোয়া তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে ট্যুইটারে লেখা হয়েছে, ‘মানুষের উন্নয়নের জন্য সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস নিবেদিত৷ এই উদ্দ্যেশ্য নিয়ে যাঁরা কাজ করতে চান, সেরকম নেতাদের দলে নেওয়ার ক্ষেত্রে তৃণমূল কোনও আপোস করবে না৷ নেতাদের বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বিশ্বাসযোগ্যতাই একমাত্র মানদণ্ড৷ ‘ ওই ট্যুইটেই ডেরেক ও ব্রায়েনকে উদ্ধৃত করে লেখা হয়েছে, ‘তৃণমূলে কোনও হাইকম্যান্ড সংস্কৃতি নেই৷ গোয়ার বিশ্বাসযোগ্য নেতাদের আমরা দলে নেব৷ তাঁরাই তৃণমূলকে গোয়ায় এগিয়ে নিয়ে যাবেন৷’ প্রসঙ্গত গোয়ায় তৃণমূলের সংগঠন বিস্তারের লক্ষ্যে সেখানে দুই সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন ও প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠিয়েছে তৃণমূল৷
The All India Trinamool Congress family is committed to working for the welfare of people. We make no compromises when it comes to picking leaders who can work towards the same goal.
Credibility is our only criteria for choosing leaders! pic.twitter.com/sqwfUOfNTc
— AITC Goa (@AITC4Goa) September 25, 2021
২০২৪-এর কথা মাথায় রেখে জাতীয় স্তরে কংগ্রেসের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই চলছিল তৃণমূল৷ ভবানীপুরের উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী না দিয়ে সৌজন্যের বার্তাও দিয়েছিল কংগ্রেস৷ কিন্তু গত কয়েক দিনে হঠাৎই যেন দু’ দলের সমন্বয়ে ছন্দপতন দেখা দিয়েছে৷ প্রথমে দলীয় মুখপাত্র জাগো বাংলায় লেখা হয়, কংগ্রেস বিজেপি-কে আটকাতে পারেনি, কিন্তু তৃণমূল পারবে৷ তার পর কর্মিসভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাখঢাক না করেই রাহুল গান্ধিকে ব্যর্থ বলে মোদি বিরোধিতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই প্রধান মুখ বলে দাবি করেন৷
গতকাল ভবানীপুরে ভোট প্রচারে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, কেন কংগ্রেসের বড় মাথাদের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা গ্রেফতার করে না৷ এ দিনই তৃণমূলকে আসল কংগ্রেস বলে জাগো বাংলায় সম্পাদকীয় প্রকাশিত হয়েছে৷ তার পর গোয়ায় দলের আত্মপ্রকাশের মুহূর্তেও কংগ্রেসকে বিঁধল তৃণমূল৷
গোয়ায় তৃণমূলের প্রতীক জোড়াফুল ব্যবহার করা হলেও তার সঙ্গে রাজ্যের মানচিত্রকেও জুড়ে দেওয়া হয়েছে৷ সবমিলিয়ে নতুন চেহারায় গোয়ায় আত্মপ্রকাশ করল তৃণমূল কংগ্রেস৷
বিধানসভা নির্বাচনের পর কংগ্রেস শিবিরে অবশ্য যথেষ্ট বড় ধাক্কা দিয়েছে তৃণমূল৷ প্রথমে অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়, তার পরে সুস্মিতা দেবের মতো কংগ্রেসের অভিজ্ঞ নেতানেত্রীরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন৷ কয়েকদিন আগে ফরাক্কার প্রাক্তন বিধায়ক এবং সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সম্পাদক মইনুল হকও তৃণমূলে নাম লিখিয়েছেন৷ এবার গোয়াতেও কংগ্রেসে ফাটল ধরানোর ইঙ্গিত দিল তৃণমূল নেতৃত্ব৷