Site icon The News Nest

হাইকম্যান্ড সংস্কৃতি নেই, কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে গোয়ায় নয়া রূপে আত্মপ্রকাশ তৃণমূলের

tmc fb 1

কংগ্রেসকে খোঁচা দিয়েই গোয়ায় আত্মপ্রকাশ করল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC in Goa)৷ গোয়ার জন্য দলের লোগোতেও রয়েছে নতুনত্বের ছাপ৷ কিন্তু সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ হল, গোয়ায় আত্মপ্রকাশ করতে গিয়ে কংগ্রেসের হাইকম্যান্ড সংস্কৃিতকে খোঁচা দিয়ে ট্যুইট করেছেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন (TMC pinches Congress high command culture)৷

গোয়াতেও যে তৃণমূল (TMC in Goa) সংগঠন বিস্তারে অন্য দল থেকে উপযুক্ত নেতাদের দলে টানবে, সেকথাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন ডেরেক (Derek O’Brien)৷ তৃণমূলের মূল নিশানা যে গোয়ায় কংগ্রেসের সংগঠনে ফাটল ধরানো, সেটাও পরিষ্কার৷

গোয়া তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে ট্যুইটারে লেখা হয়েছে, ‘মানুষের উন্নয়নের জন্য সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস নিবেদিত৷ এই উদ্দ্যেশ্য নিয়ে যাঁরা কাজ করতে চান, সেরকম নেতাদের দলে নেওয়ার ক্ষেত্রে তৃণমূল কোনও আপোস করবে না৷ নেতাদের বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বিশ্বাসযোগ্যতাই একমাত্র মানদণ্ড৷ ‘ ওই ট্যুইটেই ডেরেক ও ব্রায়েনকে উদ্ধৃত করে লেখা হয়েছে, ‘তৃণমূলে কোনও হাইকম্যান্ড সংস্কৃতি নেই৷ গোয়ার বিশ্বাসযোগ্য নেতাদের আমরা দলে নেব৷ তাঁরাই তৃণমূলকে গোয়ায় এগিয়ে নিয়ে যাবেন৷’ প্রসঙ্গত গোয়ায় তৃণমূলের সংগঠন বিস্তারের লক্ষ্যে সেখানে দুই সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন ও প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠিয়েছে তৃণমূল৷

২০২৪-এর কথা মাথায় রেখে জাতীয় স্তরে কংগ্রেসের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই চলছিল তৃণমূল৷ ভবানীপুরের উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী না দিয়ে সৌজন্যের বার্তাও দিয়েছিল কংগ্রেস৷ কিন্তু গত কয়েক দিনে হঠাৎই যেন দু’ দলের সমন্বয়ে ছন্দপতন দেখা দিয়েছে৷ প্রথমে দলীয় মুখপাত্র জাগো বাংলায় লেখা হয়, কংগ্রেস বিজেপি-কে আটকাতে পারেনি, কিন্তু তৃণমূল পারবে৷ তার পর কর্মিসভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাখঢাক না করেই রাহুল গান্ধিকে ব্যর্থ বলে মোদি বিরোধিতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই প্রধান মুখ বলে দাবি করেন৷

গতকাল ভবানীপুরে ভোট প্রচারে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, কেন কংগ্রেসের বড় মাথাদের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা গ্রেফতার করে না৷ এ দিনই তৃণমূলকে আসল কংগ্রেস বলে জাগো বাংলায় সম্পাদকীয় প্রকাশিত হয়েছে৷ তার পর গোয়ায় দলের আত্মপ্রকাশের মুহূর্তেও কংগ্রেসকে বিঁধল তৃণমূল৷

গোয়ায় তৃণমূলের প্রতীক জোড়াফুল ব্যবহার করা হলেও তার সঙ্গে রাজ্যের মানচিত্রকেও জুড়ে দেওয়া হয়েছে৷ সবমিলিয়ে নতুন চেহারায় গোয়ায় আত্মপ্রকাশ করল তৃণমূল কংগ্রেস৷

বিধানসভা নির্বাচনের পর কংগ্রেস শিবিরে অবশ্য যথেষ্ট বড় ধাক্কা দিয়েছে তৃণমূল৷ প্রথমে অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়, তার পরে সুস্মিতা দেবের মতো কংগ্রেসের অভিজ্ঞ নেতানেত্রীরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন৷ কয়েকদিন আগে ফরাক্কার প্রাক্তন বিধায়ক এবং সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সম্পাদক মইনুল হকও তৃণমূলে নাম লিখিয়েছেন৷ এবার গোয়াতেও কংগ্রেসে ফাটল ধরানোর ইঙ্গিত দিল তৃণমূল নেতৃত্ব৷

 

 

Exit mobile version