‘অতিমারী না সামলে কৃতিত্ব নিতেই ব্যস্ত ছিল সরকার’, কেন্দ্রকে বিঁধলেন অমর্ত্য সেন

যে অসুখে সত্যিকে বিচার করার ক্ষমতা চলে গিয়ে একটা ভ্রমের মধ্যে বাস করে মানুষ। সরকার সেই অসুখে আচ্ছন্ন বলেই ব্যঙ্গ করেন অমর্ত্য। তিনি উল্লেখ করেন আধুনিক অর্থনীতির জনক অ্যাডাম স্মিথের কথা।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

কাজ করার বদলে কৃতিত্ব চাইছে দেশের কেন্দ্রীয় সরকার। যা ‘সিজোফ্রেনিয়া’ হয়ে উঠেছে। তাই সারা দেশ বিপত্তিতে। করোনা সঙ্কট নিয়ে এমনই মত নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের (Amartya Sen)। উল্লেখ্য, ‘সিজোফ্রেনিয়া’ হল একটি মানসিক রোগ, যেখানে ভ্রান্ত ধারণাকে অবলম্বন করতে বাঁচতে চায় মানুষ। কেন্দ্রের নীতিকে কটাক্ষ করতে গিয়ে রূপক হিসেবে ‘সিজোফ্রেনিয়া’কে ব্যবহার করেছেন অমর্ত্য সেন। এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের।

দেশে করোনা সঙ্কট মারণ আকার নিয়েছে। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভেসেছে গোটা ভারত। এখন দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা নিম্নমুখী। কিন্তু জোর কদমে টিকাকরণ করতে পারছে না কেন্দ্র। শ্লথ হয়েছে গতি। এই পরিস্থিতির জন্য কার্যত নরেন্দ্র মোদীর সরকারকেই বিঁধলেন অমর্ত্য সেন।

আরও পড়ুন :  ক্যাপিটল হিংসার জের, এবার ফেসবুকে ২ বছর নিষিদ্ধ ডোনাল্ড ট্রাম্পক্যাপিটল হিংসার জের, এবার ফেসবুকে ২ বছর নিষিদ্ধ ডোনাল্ড ট্রাম্প

শুক্রবার ‘রাষ্ট্রীয় সেবা দল’ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময়েই একথা বলেন তিনি। মনে করিয়ে দেন, দেশেই টিকা উৎপাদন শুরু করেছিল ভারত। পাশাপাশি ভারতীয়দের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বেশি। ফলে অতিমারীর (Pandemic) সঙ্গে লড়াই করার ক্ষেত্রে সুবিধাজনক অবস্থাতেই ছিল দেশ। কিন্তু তবুও যে এভাবে সংক্রমণ ভয়াবহ চেহারা ধারণ করল, তার পিছনে রয়েছে সরকারের ‘সংশয়াচ্ছন্ন’ মনোভাব। সেই প্রসঙ্গেই উঠে আসে ‘সিজোফ্রেনিয়া’ অসুখের কথাও।

যে অসুখে সত্যিকে বিচার করার ক্ষমতা চলে গিয়ে একটা ভ্রমের মধ্যে বাস করে মানুষ। সরকার সেই অসুখে আচ্ছন্ন বলেই ব্যঙ্গ করেন অমর্ত্য। তিনি উল্লেখ করেন আধুনিক অর্থনীতির জনক অ্যাডাম স্মিথের কথা। মনে করিয়ে দেন, ১৭৬৯ সালে অ্যাডাম জানিয়েছিলেন, কেউ যদি কোনও ভাল কাজ করে তাহলে তার জন্য একদিন সে আপনা আপনিই কাজের স্বীকৃতি পায়।

নোবেলজয়ীর কথায় উঠে আসে দেশের তলানিতে থাকা অর্থনীতি ও চরম বেকারত্বের কথা। দেশ মহামারির আঘাত সামলাতে পারেনি। ফলস্বরূপ ভেঙে পড়েছে অর্থনীতি, সামাজিক পরিকাঠামো। তাই দেশের স্বাস্থ্য ও শিক্ষা পরিকাঠামোয় বৃহত্তর পরিবর্তনের পরামর্শ দেন তিনি। পাশাপাশি সামাজিক নীতি ও অর্থনীতিতেও পরিবর্তন প্রয়োজন বলেও জানান।

আরও পড়ুন : পরাজয়ের সাইডইফেক্ট ! উপনির্বাচনে মমতার বিরুদ্ধে প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত অধীরের! লোকসভার আগে নয়া জল্পনা

 

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest