Obstacles to minority development? Funding for 12,000 NGOs, including the closed Missionaries of Charity, Jamia

সংখ্যালঘু উন্নয়নে বাধা? বন্ধ মিশনারিজ অব চ্যারিটি, জামিয়া-সহ ১২ হাজার NGO-র অর্থের জোগান

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার (NGO) বিদেশি অনুদান লাইসেন্স বাতিল করল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সূত্রের খবর, বিদেশি অনুদান নিয়ন্ত্রণ আইনে (FCRA) শনিবার (১ জানুয়ারি) থেকে বাতিল হয়েছে প্রায় ৬ হাজার সংস্থার লাইসেন্স।

উল্লেখ্য, যে-সব বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বিদেশি অনুদান পায়, কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে তাদের বিদেশি অনুদান পাওয়ার ছাড়পত্র ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে গতকাল। কিন্তু সেই তালিকা থেকে বাদ পড়েছে মিশনারিজ অব চ্যারিটি, জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া, ইন্ডিয়া ইসলামিক কালচারাল সেন্টর, ইন্দিরা গান্ধী ন্যাশানাল সেন্টার ফর আর্টস প্রভৃতি। এছাড়াও রয়েছে অক্সফাম ইন্ডিয়া ট্রাস্ট, ইন্ডিয়ান ইয়ুথ সেন্টারস ট্রাস্ট, টিউবারকিউলোসিস অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া, লেপ্রসি মিশন এবং ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের মতো বিশিষ্ট কিছু নাম। এদের অনেকেরই অবশ্য মোদী সরকারের সঙ্গে তেমন বনিবনা নেই।

এনিয়ে গত কয়েক মাসে মোট ১২ হাজারের বেশি এনজিওর লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়েছে। এখন থেকে তারা বিদেশ থেকে কোনো সহায়তা নিতে পারবে না। শনিবার সকালে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক একথা জানিয়েছে।উল্লেখ্য, চ্যারিটির ছাড়পত্র বাতিল হওয়া নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের যুক্তি ছিল, কিছু বিরূপ তথ্য পাওয়ার পরেই অনুদানের ছাড়পত্রের মেয়াদ বাড়ানো হয়নি। কী সেই বিরূপ তথ্য, তা অবশ্য স্পষ্ট করা হয়নি। এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জাননো হয়েছে, মিশনারিজ অফ চ্যারিটি বিদেশি অনুদানের ছাড়পত্রের পুনর্বিবেচনার আবেদন করেনি। অন্যদিকে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ছাড়পত্র পুনর্নবীকরণের আর্জি খারিজ হয়ে গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, কোনও সংস্থাকে বিদেশি অনুদান নিতে হলে কিছু নিয়ম মানতে হয়। প্রথমত দিল্লির একটি নির্দিষ্ট স্টেট ব্যাঙ্কের শাখায় এর জন্য অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়। বিদেশি অনুদান নিয়ন্ত্রণ আইনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে ছাড়পত্র নিতে হয়। নির্দিষ্ট সময় অন্তর সেই ছাড়পত্র পুনর্নবীকরণও করাতে হয়। এখনও পর্যন্ত মাত্র সাড়ে ছয় হাজার সংস্থার আর্জি খতিয়ে দেখা হয়েছে। তাই সমস্ত এনজিও-র ছাড়পত্রের মেয়াদ ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু মিশনারিজ অব চ্যারিটি, জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার মতো সংস্থা এর সুবিধা পাবে না। কারণ তাদের আর্জি খারিজ হয়ে গিয়েছে। ফলে এই সংস্থাগুলি বিদেশি অনুদানের জন্য নির্দিষ্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আর কোনও অর্থ নিতে পারবে না। সেই অর্থ খরচও করতে পারবে না।

কেন্দ্র এই পদক্ষেপ করায় বিরোধীদের অভিযোগ, নরেন্দ্র মোদী সরকার তথা বিজেপি আসলে সংখ্যালঘুদের নিশানা করতে চাইছে। তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুরুতেই এ নিয়ে সরব হন। বুধবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বিদেশি সংবাদমাধ্যমে এ দেশে খ্রিস্টানদের উপরে ‘হামলার’ খবর তুলে ধরেন। বলেন, “আমাদের দেশের অনেকেই বালিতে মুখ গুঁজে থাকলেও গোটা বিশ্ব দেখছে।” এর বিরুদ্ধে মুখ খোলার ডাক দিয়ে রাহুলের মন্তব্য, “অন্যায়ের সময় মুখ বুজে থাকাও সমান অপরাধ।”

 

 

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest