পেগাসাস ইস্যুতে ঝড় তোলা বন্ধ করবে না বিরোধীরা। কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর ডাকে এদিন প্রতারশ বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত দিল কংগ্রেস সহ মোট ১৪টি বিরোধী দল। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিল তৃণমূল কংগ্রেসেও। তাছাড়া বৈঠকে ছিলেন ডিএমকে, এনসিপি, শিবসেনা, আরজেডি, সমাজবাদী পার্টি, সিপিআইএম, সিপিআই, ইন্ডিয়ান মুসলিম লিগ, আরএসপি, কেসিএম, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, ন্যাশনাল কনফারেন্স, তৃণমূল কংগ্রেস, লোক জনশক্তি দল। এদিকে আম আদমি পার্টি এবং অকালি দল এই বৈঠকে আমন্ত্রিত ছিল না।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই দিল্লির রাজপথ সরগরম। দিল্লির ঐতিহ্যবাহী কনস্টিটিউশন ক্লাবে (Constitution club) প্রাতরাশ বৈঠক ডাকেন রাহুল গান্ধী। তাতে যোগদানের জন্য সকলেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েছেন। কংগ্রেস, তৃণমূল ছাড়াও বৈঠকে যোগ দিলেন এনসিপি, শিব সেনা, সিপিএম, সিপিআই, আরএসপি-র প্রতিনিধিরা। প্রায় ঘণ্টাখানেকের বৈঠকে সংসদে বিরোধীদের রণনীতি নিয়ে আলোচনা হয়। তৃণমূলের তরফে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ সৌগত রায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো বর্ষীয়ান নেতারা। তাঁরা নিজেদের বক্তব্য পেশ করেন রাহুল গান্ধীর কাছে। ঠিক হয়, সংসদে কেন্দ্রকে চাপে ফেলতে মক পার্লামেন্ট, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি, বিতর্কিত কৃষি আইনের প্রতিবাদে একাধিক কর্মসূচি করবেন বিরোধীরা।
আরও পড়ুন : SMS দেখালেই পেমেন্ট! জানুন e-rupi কীভাবে ব্যবহার করবেন?
এদিকে শুধু পেগাসাস কাণ্ড নয়, পেট্রোপণ্যের দাম বৃদ্ধি থেকে কৃষি আইন, একাধিক বিষয়ে ঝাঁঝ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিরোধীরা। একাধিক ইস্যুতে কেন্দ্রকে কোণঠাসা করতে হাত মিলিয়েছে কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা। মঙ্গলবার সংসদে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করতেই কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধির ডাকে একসঙ্গে প্রাতরাশ বৈঠক সারেন বিজেপিবিরোধী বিভিন্ন দলের নেতা, নেত্রীরা। তারপর সাইকেল চালিয়ে সংসদে পৌঁছন তাঁরা।
বিরোধীদের স্পষ্ট বক্তব্য, সরকার যদি সংসদের অধিবেশন চালাতে চায়, তাহলে পেগাসাস নিয়ে আলোচনা করতে হবে তাদের। বিরোধীদলগুলি দেশের ৬০ শতাংশ ভোটারের প্রতিনিধিত্ব করে। তাই মানুষের জন্যে লড়াই জারি থাকবে। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, প্রয়োজনে নয়া উপায়ে সংসদের কাজকে ব্যাহত করা হবে। তবে পেগাসাস নিয়ে আলোচনা না হলে কোনও ভাবেই সংসদের কাজ হতে দেবে না বিরোধীরা।
আরও পড়ুন : Tokyo Olympics: সোনার দৌড় শেষ মনপ্রীতদের, এ বার লড়াই ব্রোঞ্জের জন্য