ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণার দাবি মেনে নেওয়া হয়নি। তাই জলসমাধিতে যাওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন পরমহংস আচার্য মহারাজ (Mahant Paramhansa)। কিন্তু পুলিশি হস্তক্ষেপে ভেস্তে গেল তার জলসমাধির পরিকল্পনা।
কিছুদিন আগেই প্রশাসনকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে এই ধর্মগুরু দাবি তোলেন, দেশকে বাঁচানোর একমাত্র উপায় এটিকে হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণা করা। এবং কেন্দ্রের কাছে তাঁর দাবি, দেশের মুসলিম এবং খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের নাগরিকত্ব সরকারিভাবে খারিজ করতে হবে। এই দাবিতেই তিনি শনিবার জলসমাধির পরিকল্পনা করেছিলেন।
বছর ঘুরলেই উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন (Uttar Pradesh Election 2022)। আর চব্বিশের লোকসভা ভোটের আগে এটাই তাদের লিটমাস টেস্ট। সে কথা মাথায় রেখেই ঘর গোছাতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবির। এমন পরিস্থিতিতেই প্রকাশ্যে এসেছে জগৎগুরু পরমহংস আচার্য মহারাজর এই মন্তব্য। শোনা গিয়েছে, এর আগেও এই দাবিতে তিনি টানা পনেরো দিন অনশন করেছিলেন। পরে অমিত শাহর আশ্বাসে নাকি অনশন ভাঙেন।
এর আগে পুণেয় পুলিশ সংগঠনের এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত দাবি করেন, দেশের প্রতিটি নাগরিকই আসলে হিন্দু। কেননা তাদের পূর্বপুরুষ এক। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “হানাদারদের সঙ্গেই ইসলাম ধর্ম ভারতে এসেছিল। এটাই ইতিহাস। আর সেটাকে এভাবেই দেখা উচিত।”