Pegasus Row: Center reluctant to file affidavit in Supreme Court 'in the interest of national security'

Pegasus Row: ‘জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে’ হলফনামা দিতে নারাজ, ‘রায় ঘোষণা ছাড়া আর অন্য কোনও পথ নেই!’ পেগাসাসে সুপ্রিম-মন্তব্যে চাপে কেন্দ্র

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

পেগাসাস কাণ্ডে (Pegasus) সরগরম জাতীয় রাজনীতি। ফোনে আড়ি পাতার অভিযোগে মামলা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সোমবার শীর্ষ আদালতে মামলার শুনানি চলাকালীন কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে যে পেগাসাস সংক্রান্ত বিষয়ে ‘গোপন করার মতো কিছুই নেই’। তবে ‘জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে বিস্তারিত হলফনামা পেশ করা সম্ভব নয়’। সে কারণেই আপাতত পেগাসাস আড়িপাতা মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন রায়দান স্থগিত রাখল সুপ্রিমকোর্ট। তবে আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও সরকার হলফনামা জমা না দেওয়ায়, চলতি সপ্তাহে অন্তর্বর্তীকালীন অর্ডার দিতে বাধ্য হবেন বলে জানালেন প্রধান বিচারপতি।

কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সলিসিটার জেনারেল আদালতে জানান  – বিষয়টি পরীক্ষা করে সরকার মনে করেছে  এইধরণের কোনো ঘটনার বিতর্ক হলফনামায় হতে পারেনা এবং আদালতের বিতর্কের বিষয়ও হতে পারেনা। কিন্তু ঘটনাটি গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় কমিটি এই বিষয়ে তদন্ত করবে। একটি সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়েছে কিনা তা জনগণ, কোর্ট অথবা হলফনামার  বিতর্কের বিষয় হতে পারেনা কারণ ঘটনাটির নিজস্ব সমস্যা রয়েছে। তুষার মেহতা আরও জানান জনসমক্ষে এই ঘটনা আসার কিছু কিছু সমস্যা রয়েছে। যদি সরকার জানায় তারা এই সফটওয়ার ব্যবহার করেন তাহলে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি সতর্ক হয়ে যাবে। অন্যদিকে যদি কোনো রকম সফ্টওয়ার ব্যবহার করা হয় বলে জানানো হয় তাহলে বিপরীত প্রযুক্তি তৈরী করা সহজ হবে যার ফলে সিকিউরিটি এজেন্সির পক্ষে কাজ করা কঠিন হয়ে যাবে।

আরও পড়ুন: ‘মাথা ভেঙে দেওয়ার’ নির্দেশ দেওয়া আধিকারিকের বিরুদ্ধে তদন্ত, কৃষক-বিক্ষোভ উঠে গেল কারনালে

সোমবার মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি এনভি রমানা বলেন, আমরা ভেবেছিলাম কেন্দ্র পাল্টা হলফনামা জমা করবে। কিন্তু তা হয়নি। সে কারণেই এই মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন রায়ের উপর স্থগিতাদেশ জারি করা হচ্ছে। আদালত জানায়, আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে অর্ডার দেওয়া হবে। তবে সলিসিটর জেনারেল চাইলে তার আগেই বিষয়টি উল্লেখ করতে পারেন।

সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে উদ্দেশ্য করে আদালত বলে, ‘আপনি বারবার বলেছিলেন যে হলফনামায় কিছু রাখতে চান না। আমরাও চাই না যে এখানে নিরাপত্তাজনিত বিষয়গুলি রাখা হোক। সম্ভবত, একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং তারপর প্রতিবেদনটি এখানে জমা দেওয়া হবে। এখন আপনি পুরো বিষয়টি দেখুন এবং কিছু সিদ্ধান্ত নিন।’

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এর উত্তরে জানান জাতীয় স্বার্থের বিষয়ে জানতে আগ্রহী নয় আদালত। একটি সফটওয়্যার ব্যবহার করে কিছু মানুষ, বিশেষ করে আইনজীবীদের বিরুদ্ধে, অযাচিতভাবে খোঁজখবর করা হয়েছে কিনা সেই বিষয়ে জানতে চাই যাতে এটা বোঝা যায় আইনের চোখে তা অনুমোদনযোগ্য কিনা। কেন্দ্রের কমিটি গড়ার বিরোধিতা করে কপিল সিব্বল সহ অন্যান্য মামলাকারীদের আইনজীবীরা আইনজীবীরা  কমিটি গঠনের প্রস্তাবের বিরোধিতা করে জানিয়েছেন, কেন্দ্র চাইলে তারা FIR করতে পারতো, central emergency response team এই বিষয়ে তদন্ত করতে পারতো। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় কেন্দ্র ওই ঘটনার সম্পর্কে আদালতকে কিছু জানাতেই চায় না। তিনি আরও বলেন এই ঘটনার তদন্ত সম্পূর্ণভাবে কেন্দ্রকে দূরে রেখে হওয়া উচিত।

আরও পড়ুন: MAA Flyover Controversy: ‘যোগীর বিজ্ঞাপনের অনুমোদন কে দিয়েছিল?’ জানতে চেয়ে RTI তৃণমূল নেতার

 

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest