Site icon The News Nest

করোনার চ্যালেঞ্জ রুখতে ১১১টি বিশেষ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

modi

করোনার (Coronavirus) দ্বিতীয় ঢেউ বুঝিয়ে দিয়েছে কীভাবে মারণ ভাইরাসটি রূপ বদলে আরও ভয়ানক উঠতে পারে। এই পরিস্থিতিতে আগামী চ্যালেঞ্জগুলি জিততে তৈরি হচ্ছে দেশ। প্রায় ১ লক্ষ কোভিড যোদ্ধাকে এই লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত করার মহা অভিযানের সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। জানিয়ে দিলেন দেশের ২৬টি রাজ্যের ১১১টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে তৈরি করা হবে তাঁদের।

২ থেকে ৩ মাসের মধ্যে এই নতুন কোভিড যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ‘ক্র্যাশ কোর্স’ সম্পূর্ণ করা হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তারপর থেকেই এই কর্মীরা ‘প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহায়ক’ হিসেবে দেশের করোনা পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়বেন।

আরও পড়ুন:  নতুন প্রেমিককে দামী উপহার দিলেন শ্রাবন্তী! ফেসবুক পোস্টে মিলল ইঙ্গিত

এদিন ভারচুয়াল সম্মেলনে এই উদ্যোগটির উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘কোভিড-১৯ এখনও রয়েছে। এবং আবারও তার রূপ বদল করার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। সেই কারণে নয়া চ্যালেঞ্জের সঙ্গে লড়তে আমাদের প্রস্তুত থাকা দরকার। আমরা দেশে ১ লক্ষ ফ্রন্টলাইন কর্মীকে তৈরি করার লক্ষ্যে এগচ্ছি।’’

তিনি বলেন, করোনা সম্পর্কে এখনও সতর্কতা রাখা জরুরি। সাধারণ মানুষের আরও সাবধানতা জরুরি। মোদী জানান, ক্র্যাশ কোর্সের আওতায় এক লক্ষ করোনা যোদ্ধা পড়বেন। যুব সম্প্রদায়কে এই ক্র্যাশ কোর্স করানো হবে। এতে দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নতি হবে।

শুক্রবার নিজের ভাষণে কার্যত কোভিড ক্লাস নেন প্রধানমন্ত্রী। বেশ কিছু পদক্ষেপের কথা বলেন তিনি। স্কিল ইন্ডিয়ার মাধ্যমে যাতে যুব সম্প্রদায়কে বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ পেশাদার তৈরি করা যায়, তার পরামর্শ দেন তিনি। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পরিকাঠামো উন্নয়নে গ্রামীণ ভারতের স্বাস্থ্যকর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি ও আশা কর্মীদের কাজে লাগানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।প্রধানমন্ত্রীর দাবি বিপদ কমলেও সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেন তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় কেন্দ্র তৈরি রয়েছে। ২১শে জুন থেকে টিকাকরণ অভিযানের বিশেষ বিস্তার ঘটানো হবে দেশ জুড়ে।

এদিকে, করোনা-যুদ্ধে আরও সাফল্য পেল ভারত। ৭৩ দিন পর অ্যাক্টিভ কেস, অর্থাৎ চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যাটা নেমে এল ৮ লক্ষের নিচে। শুক্রবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রকের আপডেট অনুসারে, বর্তমানে ভারতে চিকিৎসাধীন করোনা রোগীর সংখ্যা ৭,৯৮,৬৫৬, যা ভারতের মোট করোনা সংক্রমণের ২.৭৮ শতাংশ। অথচ, মাত্র মাসখানেক আগেই এই সংখ্যাটা ছিল ৩৭ লক্ষের উপরে। এদিনও চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা আছে ৯ লক্ষের নিচেই, ৮,২৬,৭৪০।

আরও পড়ুন: ভেজা ছবিতে উষ্ণতা বাড়ালেন স্বস্তিকা, লিখলেন, ‘দয়া করে আমার প্রেমে পড়ে যেও না’

Exit mobile version