PM Modi withdraws three farm laws, urges protesters to return home

Big Breaking: কৃষকদের চাপের কাছে নতি স্বীকার, তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

কৃষকদের চাপের কাছে নতি স্বীকার কেন্দ্রের। অবশেষে টানা এক বছর আন্দোলনের পর কৃষকদের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে নিল সরকার। দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে গুরুনানকের জন্মজয়ন্তীতে ৩ কৃষি আইন প্রত্যাহার করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর।

এদিন তিনি বলেন, ‘আমি দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইছি। আমি বলতে চাই যে হয়ত আমাদের তপস্যাতেই খামতি ছিল। তাই কৃষি আইন প্রত্যাহার করা হচ্ছে। এই মাসে শুরু হতে চলা সংসদ অধিবেশনে এই কৃষি আইন প্রত্যাহার করব। আমি সবাইকে অনুরোধ করব, আন্দোলন ছেড়ে একটি নয়া সূচনা করি। শীঘ্রই আইন প্রত্যাহারের সাংবিধানিক প্রক্রিয়া পূর্ণ করে দেব। এবার আপনারা সকলে খেতে ফিরে যান, পরিবারের মধ্যে ফিরে যান।’

প্রধানমন্ত্রী এদিন নিজের বক্তব্যের শুরুতেই বলেন, ‘গুরুনানকের প্রকাশ পর্ব। সকল দেশবাসীকে এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। এই উপলক্ষে খুলেছে কর্তারপুর করিডোর। গুরু নানকের বাতলে দেওয়া সেবার পথে হেঁটেই দেশবাসীর জন্য কাজ করছে সরকার। আমি গত পাঁচ দশকে কৃষকদের দুর্গতি দেখেছি। তাই ২০১৪ সালে যখন দেশ আমাকে নির্বাচিত করে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ করার সুযোগ দেয়, তখন থেকে ছোট কৃষকদের জন্যে কাজ করতে চেয়েছি। আজকে গুরু পর্বে কারোর উপর দোষারোপ করার সময় নয়।’

২০১৪ সাল থেকে ২০২১ সাল অবধি যেভাবে প্রধানমন্ত্রী মোদী দেশ চালিয়েছে সেই প্রেক্ষিতে দেখলে এই প্রত্যাহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। গুরু নানকের জন্মদিবসে মোদীর এই ঘোষণা ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছেন রাজনীতির কারবারিদের একাংশ। কারণ কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দিল্লির উপকণ্ঠে অবস্থানকারী কৃষকদের বড় অংশই পঞ্জাব এবং পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। তাঁদের শিখ এবং জাঠ জনগোষ্ঠীর সংখ্যা অনেক। আগামী বছরের গোড়াতেই ওই পঞ্জাব এবং উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা ভোট।

শুক্রবার গুরুপরব উপলক্ষ্যে জাতির উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে এই ঘোষণার পরেই বদলে যেতে পারে পঞ্জাবের রাজনৈতিক সমীকরণ। সাম্প্রতিককালে অমরিন্দর সিং কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে গঠন করেছেন নিজের দল। শিরোমণি অকালি দলও NDA থেকে বেরিয়ে এসেছে এই কৃষি বিলের কারণেই। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে বিল প্রত্যাহারের মাধ্যমে আসন্ন উত্তর প্রদেশ এবং পঞ্জাব নির্বাচনকে মাথায় রেখে বিজেপি দেশব্যাপী একটি বার্তা দিতে চাইছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest