২০১৭ উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের আগে যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) মুখে শোনা গিয়েছিল ‘শ্মশান-কবরস্থান’ তত্ত্ব। ২০২২ বিধানসভা নির্বাচনের আগেও একইভাবে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর মুখে শোনা গেল ‘কবরস্থান’ শব্দটি। আরও একবার তিনি ‘আমরা এবং ওরা’র মধ্যে স্পষ্ট বিভেদ তৈরি করার চেষ্টা করলেন। ২২-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগেও যে তাঁর মূল অস্ত্র হতে চলেছে হিন্দুত্বই, তা স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন যোগী।
দীপাবলি উপলক্ষে বুধবার রাম কথা পার্কে একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন যোগী। সেখান থেকে রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের পরিসংখ্যান তুলে ধরার পাশাপাশি আগের সরকারের কাজের সমালোচনাও করেন তিনি। যোগী ঘোষণা করেন, আগামী বছরের হোলি পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা প্রকল্পটি চালু রাখা হবে রাজ্যবাসীর স্বার্থে। কোভিড পরিস্থিতিতে এই প্রকল্পের মাধ্যমে গরিবদের বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হয়। এ মাসেই সেই প্রকল্পের সময়সীমা শেষ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু যোগী রাজ্যবাসীকে আশ্বস্ত করেছেন, তাঁর সরকার এখনই এই প্রকল্প বন্ধ করছে না। রাজ্যবাসীর সুবিধার্থেই এই প্রকল্প চালু রাখা হচ্ছে।
যোগী আরও জানান, রাজ্যের ১৫ কোটি মানুষকে এই প্রকল্পের সুবিধা দিতে সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাঁর সরকার। শুধু তাই নয়, তিনি নিজে ৬৬১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫০টি প্রকল্প চালু করেছেন বলেও দাবি করেন যোগী। অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশে ৫০০টি মন্দির এবং ধর্মীয় স্থানের উন্নয়নের জন্য কেন্দ্র বেশ কয়েকটি প্রকল্প চালু করেছে বলেও জানান যোগী। তার মধ্যে ৩০০টি প্রকল্পের কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে। আগামী দু’মাসের মধ্যে বাকি কাজগুলিও শেষ হয়ে যাবে বলে দাবি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর।
নিজের সরকারের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরার পরই অখিলেশ যাদব সরকারকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি যোগী। তিনি বলেন, “কবরস্থানের প্রতি যাদের ভালবাসা তারা জনগণের টাকায় কবরস্থানই বানিয়েছে। কিন্তু যারা ধর্ম এবং সংস্কৃতিকে ভালবাসে তারা সেই মতোই কাজ করছে। এখানেই চিন্তাভাবনার ফারাক।”
#WATCH Chief Minister Yogi Adityanath offers prayers to 'Ram Lalla' at Ram Janambhoomi in Ayodhya on #Diwali pic.twitter.com/SZCUQI1Cbp
— ANI UP (@ANINewsUP) November 4, 2021
শুধু তাই নয়, ভোটের মুখে রাম মন্দির (Ram Mandir) তৈরির কৃতিত্বও নিজেদের বলে দাবি করেছেন যোগী। বলে দিয়েছেন,”আজ থেকে ৩০ বছর আগে এদেশে করসেবা করলে গুলি বর্ষণ হত। কিন্তু এরপর যখন করসেবা হবে, তখন আর গুলি চলবে না, বরং পুস্পবৃষ্টি হবে। এটাই ওদের সরকার আর আমাদের সরকারের পার্থক্য।”