Site icon The News Nest

Rahul Gandhi: সত্যের জয় হবেই, সুপ্রিম রায়ে উচ্ছাস রাহুলের, সোমবারই কি সংসদে ফিরতে পারবেন?

Rahul Gandhi Surat court

‘মোদী পদবি’ মামলায় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) রাহুল গান্ধীর শাস্তিতে স্থগিতাদেশ দিতেই কংগ্রেসে শিবিরে রীতিমতো উৎসবের মেজাজ। এ খবর এআইসিসি (AICC) সদর দপ্তরে দলের কর্মী-সমর্থকরা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন। কেউ মাটিয়ে লুটিয়ে নাগিন ডান্সে মত্ত, কেউ আবার শূন্য দু’বাহু তুলে কীর্তনে ব্যস্ত, কেউ হয়তো ঢাক-ঢোল পেটাচ্ছেন, কেউ আবার রাহুলের নামে জয়ধ্বনি দিচ্ছেন। এক লহমায় দেখলে মনে হতে পারে, বড় কোনও নির্বাচনে হয়তো সাফল্য পেয়েছে কংগ্রেস।

কংগ্রেস শিবির অবশ্য রাহুলের (Rahul Gandhi) সাংসদ পদ ফিরে পাওয়ার ‘সম্ভাবনা’কে সাফল্য হিসাবেই দেখছে। কংগ্রেসের সরকারি টুইটার হ্যান্ডেলে টুইট করে বলা হয়েছে,’সত্যমেব জয়তে।’ রাহুল নিজে অবশ্য বিশেষ উছ্বাস দেখাননি। তিনি ছোট্ট টুইটে বলেছেন,”পরিস্থিতি যাই হোক, আমার কর্তব্য একটাই। ইন্ডিয়ার ধারণাকে রক্ষা করা।” প্রিয়াঙ্কা গান্ধী গৌতম বুদ্ধর বাণী তুলে ধরে বলেছেন, ‘সূর্য, চন্দ্র এবং সত্যি কখনও চাপা থাকে না।’

শুধু সাজার উপর স্থগিতাদেশ নয়। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট মোদী পদবি অবমাননা মামলায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করে দু’বছরের জেলের মেয়াদ নিয়ে সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের রায় সম্পর্কেই প্রশ্ন তুলেছে। বিচারপতি আরএস গাভাই এবং বিচারপতি পিকে মিশ্রের বেঞ্চের এই নির্দেশের ফলে কেরলের ওয়েনাড়ের বরখাস্ত সাংসদের পদ ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনাও উজ্জ্বল হয়েছে বলে আইন বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন।

আরও পড়ুন: Lalu: লোকসভা ভোটে হেরে বিদেশে পালাবেন মোদি, দাবি লালুর

ওই মেয়াদের সাজা দেওয়ার ফলে শুধু সাংসদ পদ হারানো নয়, ছ’বছরের জন্য তাঁর ভোটে লড়াও নিষিদ্ধ হয়ে গিয়েছিল। সুরাত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সেই রায় বহাল রেখেছিল সুরাত দায়রা আদালত এবং গুজরাত হাই কোর্টও। কিন্তু শুক্রবারের সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশের ফলে ২০২৪ সালে রাহুলের ভোটে লড়ার পথেও বাধা দূর হল।

আইনজীবীদের একাংশ বলছেন, অপরাধমূলক মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা নয়, রাহুলের ক্ষেত্রে শীর্ষ আদালতের মূল প্রশ্ন সাজার মেয়াদ নিয়ে। জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৮(৩) ধারা অনুযায়ী সাজার মেয়াদ দু’বছরের চেয়ে এক দিন কম হলেও দোষী জনপ্রতিনিধির পদ খারিজ হবে না। বলবৎ হবে না, ছ’বছর পর্যন্ত ভোটে লড়ার উপরে নিষেধাজ্ঞাও। ফলে রাহুলের উপর ‘সংসদীয় নিষেধাজ্ঞা’ প্রত্যাহারের সম্ভাবনা প্রবল বলেই মনে করছেন তাঁরা।

শুক্রবারের সুপ্রিম স্থগিতাদেশের পরে কংগ্রেসের তরফে রাহুলের সাংসদ পদ ফেরানোর দাবি তোলা হয়েছে স্পিকারের কাছে। কংগ্রেস নেতা কেসি বেণুগোপাল বলেন, ‘‘আমরা আশা করব স্পিকার যেমন দ্রুততার সঙ্গে রাহুলজির পদ খারিজ করেছিলেন, তেমনই সক্রিয়তা দেখা যাবে সাংসদ পদ ফিরিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রেও।” লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা অধীর চৌধুরী বলেন, ‘‘রাহুলজিকে সাংসদ পদ ফিরিয়ে দিতেই হবে।’’

জানা যাচ্ছে, লোকসভার সেক্রেটারিয়েট নোটিস ইস্যু করলে, তবেই রাহুল অফিশিয়ালভাবে সাংসদ পদ ফিরে পাবেন।এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, লাক্ষাদ্বীপের সাংসদ মহম্মদ ফায়জলের ঘটনা। তাঁর ১০ বছরের কারাদণ্ডের সাজার জেরে তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হয়। পরে কেরল হাইকোর্ট সেই সাজা নিলম্বিত করে। সদ্য মে মাসে সংসদের সেক্রেটারিয়েট তাঁর সাংসদ পদ ফিরিয়ে দেয়। এর আগে এই পদ ফিরে পেতে ২ মাস অপেক্ষা করতে হয়েছিল ফায়জলকে। উল্লেখ্য, মণিপুর ইস্যুতে বিরোধীদের আনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আসন্ন সপ্তাহে বাদল অধিবেশনে সংসদে ঝড় ওঠার পালা সংসদে আলোচনা ঘিরে। তার আগে সংসদে রাহুলের উপস্থিতি হতে চলেছে, কিনা, তা নিয়ে রয়েছে জল্পনা। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার এই ডিবেট লোকসভায় থাকছে। এরপর বৃহস্পতিতে এই নিয়ে থাকবে প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যুত্তর। সেই সময়কালে সংসদে রাহুলের উপস্থিতি দেখা যাবে কি না, তা নিয়ে রয়েছে জল্পনা।

আরও পড়ুন: Gyanvapi Mosque: জ্ঞানবাপী মসজিদে এএসআই-এর সমীক্ষা চলবে, ‘সুপ্রিম’ রায়ে কী কী বলা হয়েছে?

Exit mobile version