ওয়েব ডেস্ক: করোনা সংক্রমণ ও লকডাউনের জেরে ধুঁকছে বহু শিল্প সংস্থা। এমন পরিস্থিতিতে নজির গড়ল মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রি। বাণিজ্য ও ব্যবসাকে কী তিনি ম্যাজিকে পরিণত করেছেন? উত্তর না মিললেও তেমনটাই মনে হচ্ছে সকলের। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই সম্পূর্ণ ঋণমুক্ত হল তাঁর সংস্থা।
শুক্রবার এমনটাই জানালেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রির (Reliance Industries) কর্ণধার মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani)। তাঁর কথায়, Reliance Industries এখন সোনার অধ্যায়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এত অল্প সময়ে মূলধন বাড়ানোর নজির বিশ্বে বিরল। রিলায়েন্সের এই সাফল্যের উপর ভর করেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে নিফটি (Nifty), সেনসেক্সও।
আরও পড়ুন : গুলাম রসুল গালওয়ানের নামে এই গালওয়ান উপত্যকা, জেনে নিন তাঁর না জানা কথা
রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রির মোট ১,৬১,০৩৫ কোটি টাকার ঋণ (Debt) ছিল। সেই ধারের বোঝা নামাতে মূলধন জোগার করতে বাজারে নামে সংস্থা। প্রথমে ১০ জন তথ্যপ্রযুক্তি বিনিয়োগকারীর তরফে ১ লক্ষ ১৫ হাজার ৬৯৪ কোটি টাকার তহবিল জোগার করা হয়। অন্যান্য ইস্যুভিত্তিক কাজের জন্য আসে ৫৩ হাজার ১২৪ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ।
ফেসবুক, সিলভার লেক, ভিস্তা পার্টনার্স, জেনারেল অ্যাটলান্টিক, কেকেআর, মুদাবালা– ইত্যাদি একাধিক বৈদেশিক সংস্থা থেকে আসে ১১৫,৬৯৩.৯৫ কোটি টাকার মূলধন। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে বকেয়া সবটাকা পরিশোধ করতে হত। তার অনেক আগেই সেই টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে রিলায়েন্স জানিয়েছে, “এত কম সময়ে কোনও সংস্থার এত মূলধন জমা করার নজির সারা বিশ্বে বিরল। ভারতের কর্পোরেট ইতিহাসে এমন ঘটনা প্রথম। এই সংস্থা একটা নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করল।”
মুকেশ আম্বানি বলেন, “আমরা বারবারই প্রত্যাশার বাইরে গিয়ে নিজেদের প্রমাণ করেছি। ঋণমুক্ত সংস্থা হিসেবে আমি যথেষ্ট গর্ব অনুভব করছি। সেই গর্বের সঙ্গেই আমি সংস্থার শেয়ারহোল্ডার ও স্টেকহোল্ডারদের আরও প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে, ব্যবসাকে আরও অনেক বেশি উচ্চতায় নিয়ে যাব।”
আরও পড়ুন : রাহুলের জন্মদিন পালন না করে ৫০ লাখ খাবার প্যাকেট ও PPE কিট-মাস্ক বিতরণ করবে কংগ্রেস