ব্যাঙ্ক ডুবলেও গ্রাহকদের ভয়ের কোনও কারণ নেই। গ্রাহকরা ফেরত পাবেন তাঁদের টাকা। রবিবার ‘ব্যাংক আমানত বিমা’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে সাধারণ ব্যাংক গ্রাহকদের আশ্বাস দিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, যদি কোনও কারণে ব্যাংক যদি গ্রাহকদের টাকা শোধ করতে নাও পারে, তাহলেও সবার টাকা সুরক্ষিত। সরকার ৯৮.১ শতাংশ গ্রাহকের টাকাই সুরক্ষিত করে ফেলেছে বিমার মাধ্যমে। গ্রাহকদের মোট ৭৬ লক্ষ কোটি টাকা ইতিমধ্যেই বিমা সুরক্ষার আওতায় এসেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ব্যাঙ্কগুলি হল অর্থনীতির মেরুদণ্ড এবং আমানতকারীরা ব্যাঙ্কগুলির সুস্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ব্যাঙ্ক এবং গ্রাহক উভয়কেই নিরাপত্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছি”।
তিনি বলেন, “ব্যাঙ্ক দেউলিয়া হওয়ার পরিস্থিতি হলেও ৯০ দিনের মধ্যে বিমার টাকা ফেরত পান, সেটাই নিশ্চিত করেছে সরকার। আইন বদলের কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। সরকারের কাছে গুরুত্বপূর্ণ মধ্যবিত্তর সঞ্চয়। আইন সংস্কার করে আমরা ব্যাঙ্ক ও আমানতকারী উভয়কেই রক্ষা করেছি। সরকার ৯৮.১ শতাংশ গ্রাহকের টাকাই সুরক্ষিত করে ফেলেছে বিমার মাধ্যমে। গ্রাহকদের মোট ৭৬ লক্ষ কোটি টাকা ইতিমধ্যেই বিমা সুরক্ষার আওতায় এসেছে”।
#WATCH | When I was CM, I repeatedly requested Centre to increase bank deposit insurance cover to Rs 5 lakhs from Rs 1 lakh but to no avail. So people sent me here to do it: PM Modi at an event on 'Depositors First: Guaranteed Time-bound Deposit Insurance Payment up to Rs 5 Lakh' pic.twitter.com/GoEE34Jy2r
— ANI (@ANI) December 12, 2021
আগের কংগ্রেস সরকারকে নিশানা করে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “বছরের পর বছর ধরে সমস্যাগুলোকে কার্পেটের নীচে লুকিয়ে রাখার মনোভাব ছিল আমাদের দেশের। তবে আজকের ভারতের নজর সমাধানের দিকে, সমাধানে যাতে বিলম্ব না হয়, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। আমরা ক্ষমতায় এসে আইন সংস্কার করেছি। আমি যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম, তখন টাকা ফেরতের ঊর্ধ্বসীমা ১ লক্ষ থেকে বাড়ি ৫ লক্ষ করার অনুরোধ জানিয়েছিলাম। আমার কথা তখন শোনা হয়নি। যে কারণে দেশের মানুষ আমাকে এখানে পাঠিয়েছেন”।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “বছরের পর বছর ধরে আটকে থাকা ১,৩০০ কোটি টাকা ১ লক্ষ আমানতকারীকে ফেরত দেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে ৩ লক্ষেরও বেশি আমানতকারীর দাবি নিষ্পত্তি করা হবে। একটা বড়ো অংশের মধ্যবিত্ত গ্রাহকের নিরাপত্তার কথা ভেবেই এ ধরনের কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে”। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস এবং কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন।