SC delivers split verdict on Hijab row, case to go to a larger Bench

Hijab Row: হিজাব পরার অধিকার, ভিন্নমত দুই বিচারপতি! হিজাব বিতর্কে ‘সুপ্রিম’ মোড়

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

দশেরার ছুটির আগেই হিজাব সম্পর্কিত মামলার শুনানি শেষ হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। তবে সেই মামলার রায়দান স্থগিত রেখেছিল সুপ্রিম কোর্ট। আজ সেই মামলার রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। জানা গিয়েছে, সুপ্রিমকোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ ‘স্প্লিট’ রায় দিয়েছেন এই মামলার প্রেক্ষিতে। অর্থাৎ, এখনও হিজাব মামলার প্রকৃত ফলাফল স্পষ্ট নয়।ফলে উচ্চতর বেঞ্চে পাঠানো হল মামলা।

গত ১৫ মার্চ কর্নাটক হাই কোর্টের রায়ে বলা হয়েছিল, হিজাব পরাকে ধর্মাচরণের প্রয়োজনীয় অঙ্গ হিসেবে দেখা ঠিক নয়। সেই রায়ের বিরুদ্ধে মুসলিম ছাত্রীদের আবেদনের ধারাবাহিক শুনানির পর ২২ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে নিজেদের রায় সংরক্ষিত রেখেছিল বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত এবং বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চ।

বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া কর্নাটক সরকারের নির্দেশ খারিজ করে বলেন, ‘হিজাব পরা-না পরা একটা ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয়। গ্রামীণ ভারতে একটি বাচ্চা মেয়েকে অনেকসময়ই অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। সেকথা মাথায় রেখেই যে প্রশ্নটা আমার মনে এল, তা হল কেন আমরা তার জীবনটাকে আরও কঠিন বানাচ্ছি?’ দুই বিচারপতির দুই ভিন্ন রায়ের পরই মামলাটি এবার সুপ্রিম কোর্টের ৩ বিচারপতির উচ্চতর বেঞ্চে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। মামলাটি এখন প্রথমে শুনবেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি।

আরও পড়ুন: Nobel Peace Prize: নোবেল শান্তি পুরস্কারের দৌড়ে মহম্মদ জুবেইর ও প্রতীক সিনহা, পেলেন ‘ফেভারিট’ তকমা

সংবিধানের ২৫ নম্বর ধারার উল্লেখ করে বিচারপতি ধুলিয়া মুসলিম ছাত্রীদের আবেদনের যৌক্তিকতা মেনে নিয়েছেন। হিজাব পরার ব্যক্তিগত অধিকারকেও স্বীকৃতি দিয়েছেন তিনি। গত জানুয়ারিতে কর্নাটকের উদুপির একটি প্রি-ইউনিভার্সিটি কলেজে কয়েক জন হিজাব পরিহিত পড়ুয়াকে ক্লাসে বসতে বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটে। কলেজ উন্নয়ন সমিতির সভাপতি বিজেপি বিধায়ক রঘুপতি ভট্ট স্পষ্ট জানিয়ে দেন, হিজাব পরিহিতরা ক্লাসে ঢুকতে পারবেন না। সেই বিতর্ক দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে রাজ্য জুড়ে। হিজাবের পাল্টা হিসাবে গেরুয়া উত্তরীয় পরে আন্দোলন শুরু করে একাধিক হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। কয়েকটি জায়গায় হিজাবের পক্ষে-বিপক্ষে আন্দোলনকারীরা মুখোমুখি দাঁড়িয়ে পড়ে। পুলিশের সঙ্গেও একাধিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

কর্ণাটক হাইকোর্টের ১০ ফেব্রুয়ারির সেই অন্তর্বর্তীকালীন রায়কেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন পড়ুয়ারা। মুসলিম মেয়েদের মৌলিক অধিকার খর্ব করা হয়েছে। এই মর্মে আবেদন করা হয়। হাইকোর্টের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করা হয়।

আরও পড়ুন: ‘বিদ্যার জন্য সরস্বতীকে, সম্পত্তির জন্য লক্ষ্মীকে পটাও!’ বিজেপি বিধায়কের মন্তব্যে শোরগোল

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest