Site icon The News Nest

স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরও এর প্রয়োজন আছে? রাষ্ট্রদ্রোহ আইন নিয়ে প্রশ্ন শীর্ষ আদালতের

SupremeCourt

ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪(এ) ধারার বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের হয়েছিল। যার প্রেক্ষিতে এদিন শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টে। এবং শুনানি চলাকালীন কেন্দ্রকে সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট প্রশ্ন, ‘স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরও এই আইন প্রয়োজন রয়েছে?’ সুপ্রিম কোর্ট এদিন বলে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪(এ) ধারা ঔপনিবেশিক জমানার। সেই সময় ব্রিটিশ বিরোধী আওয়াজকে দাবি দিতে এই আইন প্রয়োগ করা হত। মহাত্মা গান্ধী, বাল গঙ্গাধর তিলকদের মতো মানুষদের বিরুদ্ধে তা প্রয়োগ করা হত। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরও এই আইন প্রয়োজন রয়েছে?

আরও পড়ুন: গুরু পূর্ণিমাতে একদিনের জন্য খুলছে বেলুরমঠ, মূল মন্দিরে প্রবেশের অনুমতিও মিলল

মামলাকারীর অভিযোগ, রাষ্ট্রদ্রোহ আইন আধতে সংবিধানের ১৯(১)(এ), ১৪ এবং ২১ এই তিন অনুচ্ছেদের পরিপন্থী। তাঁর দাবি, ১২৪(এ) ধারাটি সম্পূর্ণ ভাবে খারিজ করা উচিত। এই প্রেক্ষিতেই এদিন সওয়াল জবাব শুরু হয় সুপ্রিমকোর্টে। এদিন কেন্দ্রীয় সরকার পক্ষের আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেণুগোপালও সুপ্রিম কোর্টের এই পর্যবেক্ষণের সঙ্গে সহমত পোষণ করেন। তিনি শীর্ষ আদালতের কাছে আবেদন জানান যাতে এই বিষয়ে নির্দেশিকায় দেওয়া হয় কেন্দ্রকে। শুধুমাত্র দেশকে রক্ষা করার স্বার্থেই যাতে এই আইনের প্রয়োগ হয়, তা সুনিশ্চিত করার উপায় জানতে চান কেন্দ্রের আইনজীবী।

এদিন সুপ্রমকোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রমানা এই বিষয়ে বলেন, ‘আমাদের উদ্বেগ আইনটির অপব্যবহার। যদি কোনও রাজ্য সরকার তার বিরোধী শক্তির কথায় অসন্তুষ্ট হয়, তাহলে এই ধারা প্রয়োগ করে বসে।’ প্রধান বিচারপতি জানান, ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪(এ) ধারার বৈধতা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এরপর এই বিষয়ে কেন্দ্রকে একটি নোটিশ ইস্যু করেন। কেন্দ্রের তরফে সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা সুপ্রিমকোর্টকে এরপর জানান, কেন্দ্র আদালতকে তাদের হলফনামা পেশ করে শীর্ষ আদালত বুঝতে পারবে যে আমরাও সুপ্রিম কোর্টের মতোই একই মানসিকতা পোষণ করি।

আরও পড়ুন: অসহ্য জ্বালা করছে ? প্রস্রাবের ইনফেকশন দূর করতে পাতে রাখুন এই খাবারগুলি

Exit mobile version