Supreme court observed that hospitals in the country have become large industries now thriving-on-human-distress

মানুষের বিপদে যারা ফায়দা তোলে সেই হাসপাতালগুলি বন্ধ করা উচিত, পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

হাসপাতাল যেন লাভজনক শিল্পক্ষেত্র। এগুলি আর মানুষের সেবা করে না। দেশের বেসরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার নগ্ন বাস্তব তুলে ধরে বিস্ফোরক পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচুড়ের পর্যবেক্ষণ, যে সব হাসপাতাল মানুষের বিপদের সুযোগে ফায়দা তোলার চেষ্টা করে, সেগুলি বন্ধ করে দেওয়া উচিত।

সোমবার দেশে কোভিড রোগীদের চিকিৎসা, করোনায় মৃত রোগীদের দেহের সৎকার এবং বিভিন্ন হাসপাতালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড সংক্রান্ত একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানি ছিল শীর্ষ আদালতে। যাতে বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচুড় (D Y Chandrachud) এবং বিচারপতি এম আর শাহর ডিভিশন বেঞ্চ প্রশ্ন করে, “আচ্ছা হাসপাতালগুলি কি মানুষের সেবায় নিয়োজিত, নাকি রিয়েল এস্টেটের মতো ব্যবসা?” বিচারপতি চন্দ্রচুড় বলেন,”মানুষের দুর্ভোগকে কাজে লাগিয়ে হাসপাতালগুলি যেন ব্যবসার জায়গা তৈরি হয়ে গিয়েছে। মানুষের জীবনের বিনিময়ে এভাবে হাসপাতালগুলির ফায়দা বরদাস্ত করা যাবে না। এই ধরনের হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়া উচিত। এবং সরকারের উচিত স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি করা।”

অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আচরণে চরম ক্ষুব্ধ বিচারপতি। একটি ঘটনার উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, “একজন রোগী বহু চিকিৎসার পর করোনা থেকে মুক্ত হয়েছিলেন। পরেরদিন তাঁর ছাড়া পাওয়ার কথা ছিল। সেদিনই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড তাঁকে জ্যান্ত জ্বালিয়ে দিল। ওই ঘটনায় দু’জন নার্সেরও মৃত্যু হল। চোখের সামনে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। এই হাসপাতালগুলি কি মানুষের সেবা করছে? নাকি রিয়েল এস্টেট শিল্প?” বেসরকারি হাসপাতালে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করার পাশাপাশি গুজরাট সরকারকেও তুলোধোনা করেছে শীর্ষ আদালত। আসলে ২০১৮ সালে গুজরাটের (Gujarat) ৪০টি হাসপাতালে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ঠিক না থাকার অভিযোগ উঠেছিল। যা নিয়ে হাসপাতালগুলিকে তিরস্কার করে সেরাজ্যের হাই কোর্টও (Gujarat High Court)। পরে গুজরাট সরকারই হাসপাতালগুলির ত্রাতা হয়ে দাঁড়ায়। এবং জানিয়ে দেয়, তাঁদের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ঠিক করার প্রয়োজন নেই।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest