ভোটে হেরে রাজ্যসভায় ‘ঘরওয়াপসি’ স্বপন দাশগুপ্তর, ‘১৯৫২ সাল থেকে বেনজির’, খোঁচা জয়রামের

একুশের নির্বাচনে তারকেশ্বর বিধানসভা আসন থেকে লড়াই করেছিলেন তিনি। কিন্তু নির্বাচনে জিততে পারেননি তিনি।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

পুনরায় রাজ্যসভার সাংসদ হলেন স্বপন দাশগুপ্ত (Swapan Dasgupta)। মঙ্গলবার তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ (Rajya Sabha MP) পদে ফের মনোনীত করলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। উল্লেখ্য, একুশের নির্বাচনে তারকেশ্বর বিধানসভা আসন থেকে লড়াই করেছিলেন তিনি। সেই সময় রাজ্যসভার সাংসদ পদ ছেড়েছিলেন স্বপনবাবু। কিন্তু নির্বাচনে জিততে পারেননি তিনি। এবার ফের রাজ্যসভার সাংসদ পদে মনোনীত হলেন তিনি।

আরও পড়ুন :  সেই পুরাতন ছক ! লাক্ষাদ্বীপে গোমাংস নিষিদ্ধ, মদ বিক্রির ইস্যুতে ব্রেক কষতে চলেছেন অমিত শাহ

২০১৬-র এপ্রিলে রাজ্যসভার সাংসদ পদে শপথ নিয়েছিলেন স্বপন দাশগুপ্ত। তার পর ২০২১ সালের বাংলায় বিজেপির হয়ে ভোটে দাঁড়ান তিনি। প্রথমে রাজ্যসভার পদ না ছেড়েই তারকেশ্বর বিধানসভা থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন স্বপনবাবু। কিন্তু তাঁর এহেন আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তোলে তৃণমূল-সহ একাধিক বিরোধী দল। সংবিধান বিরোধী কাজ করছেন বলেও অভিযোগ উঠেছিল। তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) তরফে অভিযোগ করা হয়েছিল, বিজেপি প্রার্থী ভারতীয় সংবিধানের দশম তফসিল লঙ্ঘন করেছেন। তাঁর রাজ্যসভার সদস্যপদ খারিজের আবেদনও জানিয়েছিলেন তাঁরা। অবশেষে সাংসদ পদ থেকে পদত্যাগ করেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ।

সংবিধানের দশম তফশিলে বলছে, ১০২(২) ও ১৯১(২) ধারা অনুযায়ী, যদি কোনও কক্ষের সদস্য শপথগ্রহণের ৬ মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পরে কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দেন, তাহলে তাঁর সদস্যপদ খারিজ হয়ে যাবে। তবে সদস্যপদ খারিজ হওয়ার আগেই নিজে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। ভোটে জিতে বিধায়ক হওয়া হয়নি। তাই এবার রাজ্যসভাতেই ফিরলেন তারকেশ্বরের বিজেপি প্রার্থী। উল্লেখ্য, ভোট মেটার একমাসের মধ্যেই সংসদের উচ্চকক্ষের সদস্য হলেন তিনি। তবে তিনি ২০২২ সাল অবধি এই পদে থাকবেন। এদিন রাজ্য সরকারের সুপারিশ মেনে ১২ জনকে মনোনীত করেন রাষ্ট্রপতি।

সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৮০ উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় বিজ্ঞপ্তি জানিয়েছে, স্বপন দাশগুপ্ত যাওয়ার পর তাঁর আসনটি খালি ছিল। ওই আসনে ২০২২ সালের ২২ এপ্রিল পর্যন্ত তাঁকে পুনর্মনোনীত করা হল। রাজ্যসভার ইতিহাসে এটা বেনজির ঘটনা বলে টুইট করেছেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ (Jairam Ramesh)। তাঁর কথায়,”১৯৫২ সালে রাজ্যসভা গঠিত হওয়ার পর এমন ঘটনা প্রথম বলে আমার ধারণা।”

আরও পড়ুন : মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের সূচি ঘোষণা কালই, পরীক্ষার এক-দেড় মাসের মধ্যেই ফলপ্রকাশ

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest